Home সাহিত্য ও বিনোদন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮৭তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠিত

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮৭তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠিত

35

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলা একাডেমি আজ ২৭শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সৈয়দ শামসুল হকের সাহিত্যকর্ম বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সৈয়দ শামসুল হকের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামী প্রকাশনী প্রকাশিত সৈয়দ শামসুল হকের মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। উন্মোচন-পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার এবং আগামী প্রকাশনী’র প্রকাশক ওসমান গনি।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, সৈয়দ শামসুল হক চিরজীবিত বিশ্ববাঙালি। তাঁকে কোনো নির্দিষ্ট পরিসরে মূল্যায়ন করা অসম্ভব। কারণ এক তরুমানুষের মতো তিনি সৃষ্টিসবুজ প্রভায় নিজেকে ক্রমাগত ছাড়িয়ে গেছেন।
সৈয়দ শামসুল হক : জলেশ্বরী থেকে বাংলাবিশ্বে শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের পটভ‚মি এ বিশাল বাংলা। তাঁর প্রিয় জলেশ্বরীর মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি সমগ্র বিশ্বকে অবলোকন করেছেন, নতুন এক সৃজনবিশ্ব নির্মাণ করেছেন যার কাছে বাঙালিকে বারবার ফিরে আসতে হবে।
আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, পরবর্তী প্রজন্ম সৈয়দ শামসুল হককে যেভাবে মূল্যায়ন করছেন, প্রতিদিন তাঁর রচনা পড়ছেন এবং সে সম্পর্কে আলোচনা করছেন সেটাই একজন লেখকের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
রাজীব কুমার সরকার বলেন, সৈয়দ শামসুল হক আমাদের চিরবিস্ময়ের নাম। তিনি তাঁর সৃষ্টিশীলতার বিচিত্র শাখায় বিচরণ করে যেভাবে এক নিজস্ব নন্দনবৃন্দের জন্ম দিয়েছেন তা আমাদের চিরদিন অনন্য ছায়া দেবে।
ওসমান গনি বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিজয়ের এই মাসে তাঁর মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস প্রকাশ করতে পেরে আগামী প্রকাশনী গৌরবান্বিত।
সেলিনা হোসেন বলেন, সৈয়দ শামসুল হক বাংলা সাহিত্যের অবিস্মরণীয় নাম। তিনি আমাদের সৃষ্টিশীলতার নতুন নতুন রীতির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন, বাংলা সাহিত্যের বৈভব বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের শিল্পসাহিত্য ও জাতিসত্তার পথপরিক্রমায় তিনি সবসময় আমাদের প্রণম্য-মানব হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা ড. মাহবুবা রহমান।