Home রাজনীতি শেরপুরে বিতর্কীতরাও চান নৌকার মনোনয়ন

শেরপুরে বিতর্কীতরাও চান নৌকার মনোনয়ন

47

শেরপুর প্রতিনিধি : পাচটি উপজেলা নিয়ে শেরপুর জেলা। শেরপুর সদর, শ্রীবর্দী, ঝিনাইগাতী, নকলা এবং নালিতাবাড়ী। এতে রয়েছে ৫২টি ইউনিয়ন। সারা বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের হাওয়া বইছে। শেরপুর জেলাও এর বাইরে নয়। ইতি মধ্যে দি¦তিয় ধাপে শেরপুর সদর, নকলা এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার ইউপি নির্বাচনের তফছিল ঘোষনা করা হয়েছে। প্রার্থীতা বাছাই পর্বও শেষ করেছে শেরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস। বিতর্কীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে জটিল সমীকরন এবং বিপাকে পড়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৯৩ প্রার্থী। আবার একই পরিবারে ৫জনের মনোনয়ন ফরম কেনার ঘটনাও ঘঠেছে উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নে। আবার অনেক প্রার্থীর এক সময় জামাত,বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে এবং সত্যতাও মিলেছে। এমনই এক প্রার্থী মাওলানা মোহাম্ম্দ জামাল উদ্দীন।বর্তমানে তিনি ১নং পোড়াগাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এবং নৌকার মনোনয়ন চান। নাম না বলার শর্তে ইউনিয়নের অনেকেই বলেন, জামাল উদ্দীন শিবির, জামাতের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। জামাতের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তাকে আমরা অংশ গ্রহণ করতে এবং ক্যারাটি প্রশিক্ষন নিতেও দেখেছি। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে জামাল যোগ দেন বিএনপিতে । তার ছোট ও বড় ভাই বিএনপির রাজনীতিতে সংক্রিয় এবং তার ছোট ভাই জাবের উদ্দীনকে (বেলজিয়াম প্রবাসী) সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে ফেসবুকে আপওিকর পোষ্ট দিতেও দেখা যায়। ২০১১ সালে ১নং পোড়াগাও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটিতে ১০ নাম্বারে রয়েছে জামাল উদ্দিনের নাম। পরে সুযোগ বুঝে আওয়ামী রাজনীতিতে যোগ দেয়। তারা আরও বলেন, এমন অনেক প্রাথীই রয়েছে নালিতাবাড়ীতে। আনীত অভিযোগ মিথ্যা,ভিওিহীন এবং সাজানো বলে মাওলানা মোহাম্ম্দ জামাল উদ্দীন দাবি করলেও ঐ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান চৌধুরী বলেন, জামাল আমাদের বিএনপি রাজনীতি করতো এবং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিল। আওয়ামীলীগ তাকে কিভাবে নিল। পোড়াগাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বন্ধনা চাম্বু গঙ্গ এর সাথে কথা হলে জানান, আমি নতুন রাজনীতিতে যোগদান করেছি জামাল সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানিনা তবে উপজেলার জনগন বলে জামাল জামাত,শিবির করতো। হাইব্রিড নেতাদের সম্পর্কে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, বিতর্কীত নেতাদের ব্যাপারে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।জামাল উদ্দিনের জামাত, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি আমি লোকমারফত শোনতে পেয়েছি এবং প্রমাণও পেয়েছি। আমরা তার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে মনোনয়ন দিবেন না।