Home ধর্ম শেরপুরে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব শুরু ।

শেরপুরে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব শুরু ।

36

আনিছ আহমেদ (শেরপুর)প্রতিনিধি:
শেরপুরে আজ থেকে ২ দিনব্যাপী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বাৎসরিক তীর্থৎসবকে ঘিরে শেরপুর সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের আদিবাসী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
বারোমারি খ্রিষ্টান মিশন সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বারোমারী খ্রিষ্টান মিশনে তীর্থোৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ‘সিনোডিও মন্ডলীতে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ কর্মে ফাতেমা রাণী মা মারীয়া’ এই মূল সুরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পুনর্মিলন সংস্কারের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে দু’দিনের উৎসব। পরে বেলা ৫টায় পবিত্র খ্রীস্টযোগ, রাত ৮টায় জপমালার প্রার্থনা ও আলোক শোভাযাত্রা, ১১টায় সংক্রান্তের আরাধনাও নিরাময় অনুষ্ঠান এবং রাত ১২:৩০ মিনিট থেকে ব্যক্তিগত প্রার্থনা নিশি জাগরণ অনুষ্ঠিত হবে।

আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০টায় মহা খ্রীস্টযোগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হবে। এরইমধ্যে বিভিন্ন মিশন থেকে মারীয়া সেবা সংঘের স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় মিশনের বিভিন্ন স্থানের রাস্তা সংস্কার, আগাছা পরিষ্কার, ধোয়া মোছা, প্যান্ডেল, প্রবেশপথের গেইট তৈরিসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তীর্থোৎসব উদযাপন কমিটি সূত্র জানায়, জেলা সদর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে নালিতাবাড়ি উপজেলার ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা গারো পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে ১৯৪২ সনে ফাদার মার্কস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বারোমারী মিশন। এরপর ১৯৯৮ সালে বারোমারী মিশনকে ধর্ম পল্লী ঘোষণা করেন ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশ। পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে স্থাপন করা হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থ স্থান। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় তীর্থোৎসব। এতে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাথলিক খ্রিষ্ট ভক্তরা অংশ নেয়।
খ্রিষ্টানদের এ তীর্থোৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম তীর্থের স্থল পরিদর্শন করেছেন এবং স্থানীয় আয়োজকদের কাছে প্রস্তুতির খোঁজ খবর নেন পুলিশ সুপার।
বারোমারী খ্রিষ্টান মিশনের ফাদার তরুন বানোয়ারী জানায়, তীর্থোৎসবের এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে আরও বেশী অর্থাৎ প্রায় অর্ধ লক্ষ খ্রিষ্ট ভক্তের আগমনের আশা করছি এবং নিরাপত্তার ব্যাপারেও শতভাগ আশাবাদী। সেই সাথে এবারের তীর্থ উৎসব সুন্দর ও উৎসব মুখর হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম জানায়, পুলিশের পক্ষ থেকে সকল প্রকার নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা চাই উৎসবটি তারা নির্বিঘ্ন ও নিজের মতো করে পালন করুক।