Home সারাদেশ শেবাচিম হাসপাতালে দুই দফা আগুন আতঙ্ক রোগী ও স্বজনদের মধ্যে

শেবাচিম হাসপাতালে দুই দফা আগুন আতঙ্ক রোগী ও স্বজনদের মধ্যে

35

বরিশাল অফিস: শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে শনিবার বিকেল ও রাতে দুই দফা আগুন আতঙ্কের রোগী, স্বজন, ডাক্তার, নার্সরা আতঙ্কিত হয়ে নিচে নেমে আসে। শনিবার বিকেল চারটায় হাসপাতালের নীচতলার এফ ব্লকে ও রাত সাড়ে ১০টার দিকে চতুর্থ তলার অর্থোপেটিক্স(ফিমেল) ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল ও প্রতক্ষদর্থী সূত্র জানায়, শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতালের নিচতলার লিফটের পাশে পরিচালকের কক্ষে যাওয়ার গেটে বিদুৎ লাইনের নিয়ন্ত্র বক্সে শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় রোগী ও তার স্বজনরা নিচে নেমে আসে। পরে হাসপাতালের স্টাফরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে নিচে নেমে আসা রোগী ও স্বজনদের পুনরায় স্ব-স্ব ওয়ার্ডে চলে যায়।

অন্য দিকে রাত ১০টার দিকে হাসপাতালের চর্তুথ তলায় অর্থোপেক্সি( ফিমেল) ওয়ার্ডের রাখা অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারের নজেলের মুখ থেকে গ্যাস বেড় হলে ওই ওয়ার্ডের রোগী, স্বজন এবং দায়িত্বরত নার্সরা আগুন আতঙ্কে ওয়ার্ড থেকে বেড় হয়ে যায়। এ ঘটনায় পুরো হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাদের ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনেন।

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডের স্ক্যানু বিভাগের সেবিকা শিবানী হালদার বলেন, বিকেল চারটার দিকে হঠাৎ করে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনতে পেয়ে নবজাতকদের নিয়ে দৌঁড়ে হাসপাতালের বাইরে চলে এসেছি। বের হয়ে জানতে পারি নিচতলায় আগুন লেগেছে।

হাসপাতালের দায়িত্বর আনসার সদস্য জানান, রাত ১০টার দিয়ে চারতলায় আগুন লেগেছে বলতে বলতে হুরোহুরি করে বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগী, স্বজন ও নার্সরা হাসপাতালে বাহিরে বেড় হয়ে আসে। এসে ওয়ার্ডে থাকা রোগী, স্বজন এবং নার্সরা হুরোহুরি করে বেড় হয়ে আসতে দেখে অন্যসব ওয়ার্ডের থাকার রোগী ও স্বজনরা হাসপালের বাহিরে বেড় হয়ে আসে।

হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রশাসনিক ভবনের পাশে শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লাগে। আমাদের স্টাফরা সবাই ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিংপ্রাপ্ত হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া রাতে চতুর্থ তলায় অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেড় হওয়ায় ওই ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। উভয় ঘটনাই রোগী এবং তাদের স্বজনরা ভয়ে হাসপাতালে বাহিরে বেড় হয়ে এসেছিলো। পরে তারা আবার স্ব-স্ব ওয়ার্ডে ফিরে যায়। পুরো হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।