Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা না থাকে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা

শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা না থাকে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা

40

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল সংলগ্ন এলাকায় একজন ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ। একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৫ জন নিপীড়ককে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নজির আমিন চৌধুরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদিকুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাসফিকা প্রিয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এই ক্ষোভ ও দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৯টায় সঙ্গীত বিভাগের এক শিক্ষার্থী ও তার সাথে দেখা করতে আসা চীনের ইয়াংজু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বন্ধু প্রীতিলতা হলসংলগ্ন এলাকায় হাঁটছিলেন। এ সময় পাঁচজন এসে তাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন জেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা মারধর করতে শুরু করে। মারধোর করে তাদের বোটানিক্যাল গার্ডেনে জোরপূর্বক নিয়ে শারিরীকভাবে হেনস্তা করে এবং মেয়েটির আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। এর প্রতিবাদ করায় তাদের আবারও মারধর করা হয়। মারধরের বিষয়ে অভিযোগ দিলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় নিপীড়কেরা। প্রায় একঘণ্টা মারধর ও শারিরীক হেনস্তা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুর মানিব্যাগ ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তারা চলে যায়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, এ ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের সভাপতি জড়িত। ফলে সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলেও লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে লিখিত অভিযোগ দিতে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে। যা অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায় একটি ছাত্রী হল সংলগ্ন এলাকা একজন ছাত্রীকে যৌন হয়রানি এবং তার বন্ধুকে মারধরের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যদি একজন শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা না থাকে তবে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা।’
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হীন মানসিকতাসম্পন্ন ঘটনা দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায় আর না ঘটে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, মানসিক সহায়তা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।