Home জাতীয় শিক্ষাজীবনই শিক্ষার্থীদের ভিত্তি স্থাপনের মূল সময়: ডিএমপি কমিশনার

শিক্ষাজীবনই শিক্ষার্থীদের ভিত্তি স্থাপনের মূল সময়: ডিএমপি কমিশনার

22

স্টাফ রিপোটার: শিক্ষা জীবনই শিক্ষার্থীদের ভিত্তি স্থাপনের মূল সময় বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আজকের প্রতিটি শিক্ষার্থী আগামীর বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে। তাই শিক্ষকদের পাশাপশি অভিভাবকদেরও সার্বোক্ষনিকভাবে শিক্ষার্থীদের প্রতি নজর রাখতে হবে।
শনিবার বেলা ১১ টায় রাজধানী ডেমরার ঐহিত্যবাহী সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের ৫ দিন ব্যাপী শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভ্যাল-২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, মানুষের মূল বিষয় হলো মনুষ্যত্ববোধ। আমরা শুধু চাকরি ও অন্যান্য সুবিধার জন্য লেখাপড়া করিনা। এক্ষেত্রে আমাদের সুন্দর জীবন গড়ার জন্য শিক্ষাজীবন থেকেই শিক্ষা নিয়ে জীবনের লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে যেতে হবে কারণ মানুষের আয়ু খুবই কম। আর এ স¦ল্প সময়ে নিজেকে সঠিক ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে শিক্ষা জীবটাই মূল ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, ঢাকায় আমার দীর্ঘ ২০ বছরের কর্মজীবনে আমি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখেছি কিন্তু কোনটিই সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নয়। এটি একটি আলোকিত ও বিস্ময়কর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ক্রমাগত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিকাশ লাভ করেছে। ২০০৭, ২০১২, ও ২০১৫ সাল এই প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ সময়। ওই বছরগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বোর্ডে এসএসসিতে ১ম ও ২য় স্থান অধিকার করে এবং এইচএসসিতে ১ম স্থান অধিকার করে। একাডেমিক শিক্ষার সাথে সাথে সহশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী হয়ে উঠছে। তিনি আরও বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাদের মধ্য থেকেই তৈরি হবে বিজ্ঞানী, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ, দক্ষ প্রশাসক, উদ্যোক্তা, খেলোয়াড়, সমাজকর্মী, শিল্পী, কবি-সাহিত্যিক ইত্যাদি। তারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে এবং বিশ্বকল্যাণে কাজ করবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকের সম্পর্ক যত ভাল হবে, বন্ধুত্বপূর্ণ হবে শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে তত ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। শিক্ষার্থীর কাছে তার শিক্ষক সর্বোচ্চ সম্মানিয় আসনে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি। আবার শিক্ষকের কাছে তার শিক্ষার্থীরা সন্তানের মতো প্রিয়। নিজের বিদ্যা-বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলেন এবং নিজেকে সেই শিক্ষার্থীর আলোকিত জীবনের গর্বিত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তেমনই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবন এমনকি ব্যক্তি জীবনেও তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতায় শিক্ষককে স্মরণ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইতিহাস গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। কঠোর সাধনায় এ প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের শিখরে উঠে এসেছে । প্রতিষ্ঠানের ক্রমাগত কৃতিত্ব অর্জন গোটা দেশকে আকর্ষণ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে সারা দেশের শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে তাই এটি একটি মিনি বাংলাদেশ। আমরা শিক্ষার্থীদের হাসি-কান্নার সাথে জড়িয়ে থাকি। এ প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার অঙ্গনে গিয়ে পৌঁছেছে, দেশ-বিদেশে যারা গবেষণায় তাদের সংখ্যাও কম নয় । শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য প্রধান অতিথির কাছে তিনি একটি পার্কের দাবি তুলে ধরেন — যার নাম হবে শেখ রাসেল পার্ক। শিক্ষা সপ্তাহ-ক্লাব ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী, ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মনির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও হাজার হাজার শিক্ষার্থীবৃন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত প্রধান অতিথি শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার স্বরূপ নগদ অর্থ, সম্মাননা ক্রেস্ট ও অভিনন্দন সনদ প্রদান করেন। পাশাপাশি সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রিন্সিপাল মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লাসহ গভর্নিংবডির সদস্যবৃন্দ আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন ।