Home জাতীয় শহীদ মিনারের সাথে টয়লেট নির্মান : ক্ষোভ এলাকাবাসী

শহীদ মিনারের সাথে টয়লেট নির্মান : ক্ষোভ এলাকাবাসী

37

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর যাত্রাবাড়ি কোনাপাড়া স্কুল এণ্ড কলেজের প্রধান ফটকের পাশে শহীদদের স্মরনে নির্মিত জাতীয় ” শহীদ মিনার’ এর সাথে টয়লেট নির্মানকে অবমাননা বলে অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বরাদ্দ পেয়ে এই টয়লেট নির্মান করা হচ্ছে। যদিও পাড়াডগার মান্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি ফ্লোরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল ভবনটির সামনে এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান সাধু এলাকায় শিক্ষিত সমাজ গঠনের স্বার্থে জমি দান করে নিজ নামে গড়ে তুলেছেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে এখানে তার নামে স্কুল এণ্ড কলেজ এবং ডগাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। একইসাথে অমর ২১ শে শহীদদের স্মরনে নির্মিত হয় একটি শহীদ মিনার। প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারীর দিনে বীর সকল শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে স্বরন করা হয়। অথচ এই শহীদ মিনারের পাশেই স্থানীয় এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু নির্দেশে শহীদ মিনারের সাথে টয়লেট এবং সেফটি ট্যাংক নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কাজী মনিরুল ইসলাম মনু (এমপি) কে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, ডগাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও এমপির বিশস্ত কর্মী এস এম সোহেল। আর মান্নান স্কুল এণ্ড কলেজ এর গর্বনিধবডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কামরুজ্জামান কামরুল। তিনিও ঢাকা -৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু সমর্থক। এমপি নিজেই তাদের ডিও লেটার দিয়ে মনোনীত করেছেন।
স্কুলটি এত শোচনাগার থাকার পরও শহীদ মিনারের সাথে টয়লেট নির্মান কেন জানতে চাইলে সাব কন্টাক্টার সোলাইমান বলেন, আমরা কাজ পেয়েছি, তাই কাজ করছি। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না। গত ২ দিন ধরে কাজ করছেন
তরিকুল ইসলাম নামে একজন শ্রমিক। তিনি বলেন, শহীদ মিনারের সাথে টয়লেট নির্মান ঠিক না। আমরা তো শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। কন্টাক্টার যা বলবে তাই করতে বাধ্য।
শহীদ মিনারের সাথে টয়লেট নির্মান বন্ধে প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মান্নান স্কুল এণ্ড কলেজ এর সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল। তিনি বলেন, এটা কোনো বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না। এটা জাস্ট ক্ষমতার দাপট। ডগাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনারের সাথে টয়লেট ও সেফটি টাংকি নির্মাণের প্রধান কন্টাক্টার
সোহেল মিয়া সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন।
তবে আবদুস ছালাম নামে কোনাপাড়ার একজন বাসিন্দা বলেন, নেতৃত্ব আর ক্ষমতার দাপটে বর্তমান এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এবং তার লোকজন ফুটপাতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করছে। এককথায় বলতে গেলে যা ইচ্ছে তাই করছে। কোনো ভালো মানুষ বাঙালির অনুভূতি জায়গায় আঘাত করতে পারে না। শহীদ মিনারের সাথে টয়লেট নির্মান মানে আমাদের অনুভূতিতে আঘাত করা। একই অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী স্থানীয় অনেক বাসিন্দা ও অভিভাবকরা।
এবিষয়ে ৬৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি এস এম সোহেল কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।