Home সারাদেশ ল্যাকটেটিং মাদার এর সুবিধা ভোগীদের অর্থ হাতিয়ে নিতে মরিয়া একটি প্রতারক চক্র

ল্যাকটেটিং মাদার এর সুবিধা ভোগীদের অর্থ হাতিয়ে নিতে মরিয়া একটি প্রতারক চক্র

43

প্রতাপ হোড়,সাতক্ষীরা : ল্যাকটেটিং মাদার এর সুবিধা ভোগীদের অর্থ হাতিয়ে নিতে মরিয়া একটি প্রতারক চক্র। মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত অবধি একটি মোবাইল নং থেকে সুবিধা ভোগী বিভিন্ন জনের কাছে ফোন দিয়েছে। এই প্রতারকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হলো ০১৯৫০ ৯৫২৫৮৯। উক্ত মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটসআপ ও খোলা রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ সরকারের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে এবং ট্রুকলারে সার্চ দিলে তার নাম দেখাচ্ছে বাটপার সমাজসেবা অধিদপ্তর।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী নাসরিন আক্তার জানান, গতকাল সন্ধ্যায় সমাজসেবা অফিসের পরিচয় দিয়ে বলে আপনার মেয়ের যে টাকা ব্যাংকের একাউন্টে দেওয়া হয়। সেটা আর ব্যাংকে দেওয়া হবে না। আপনাদের এটিএম কার্ড করা লাগবে। বাকী সমুদয় টাকা এই কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী শ্যামলী আক্তার বলেন, আমার কাছে গতকাল সন্ধ্যা ৬ টা ২২ মিনিটে ফোন দিয়ে বলে আমি সমাজসেবা থেকে বলছি আপনাদের যে টাকা দেওয়া হয় সেটা এককালিন ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হবে সেজন্য এটিএম কার্ড করা লাগবে। সেটা নিজের হলেও হবে অথবা পাশের কারোর হলেও হবে। সে আরো বলে আপনাদের ফোনে ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছিল আপনারা যোগাযোগ করেন নি কেন? অথচ ফোনে কোনো ম্যাসেজ আসেনি। এগুলো যোগাড় করে ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর ও এটিএম কার্ড নিয়ে আমাদের এই নম্বরে যোগাযোগ করবেন এই বলে ফোন কেটে দেয়।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী মুন্নি আক্তার জানান, একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলে আপনাদের এটিএম কার্ডে টাকা দেওয়া হবে এজন্য কার্ড করা লাগবে। যদি নিজের না থাকে পাশের কারোর থাকলে হবে। এছাড়াও ওই প্রতারক আরো বিভিন্ন জনের কাছে ফোন দিয়েছে বলে জানা গেছে এবং সে নানা ধরনের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার নম্বরে বিস্তারিত জানান জন্য ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। সর্বশেষ বুধবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টার পরে তার ফোনে রিং দিলে খোলা পাওয়া যায়। ফোনে ১১ টার পরে কয়েকবার রিং হলেও রিসিভ করে নি। এসকল প্রতারকের জন্য সরকারের এহেন উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
এ বিষয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, এই প্রতারক চক্র গত সপ্তাহ যাবত সুবিধা ভোগীদের হয়রানি করে যাচ্ছে। যে সকল নম্বর থেকে ফোন দেওয়া হয়েছে তাদের নম্বরগুলো ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) দেওয়া হয়েছে। এই সকল নম্বর গুলো কোনো না কোনো ভাবেই মহিলা অধিদপ্তর থেকে হ্যাক হতে পারে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের প্রতারকের খপ্পরে না পড়ার আহবান জানান।
এবিষয়ে ওই নাম্বারে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা মহিলা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক শফিউল আযম বলেন, সুবিধাভোগীর টাকা অবশ্যই তাদের স্ব স্ব একাউন্টে যাবে। যদি কোন প্রতারক এধরনের কথা বলে থাকে। তাকে কৌশলে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করুন। এবিষয়ে মহিলা অধিদপ্তরও সহযোগিতা করবে।
সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাহিদুর রহমান বলেন, একটি প্রতারক চক্র এভাবে মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সুবিধাভোগীদের সতর্ক করছি। এরনের প্রতারকের সন্ধান পেলে পুলিশে সোপর্দ করুন।