Home বাণিজ্য ও অর্থনীতি রেমিট্যান্স আনা সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রেমিট্যান্স আনা সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

41

ডেস্ক রিপোর্ট: রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে এখন থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিদেশি কোনো মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তি করতে (ড্রইং অ্যারেঞ্জমেন্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে না।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। চলমান ডলার সংকটের মাঝে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর চেষ্টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে দেশের ব্যাংকগুলো দ্রুত তাদের নেটওয়ার্ক বাড়াতে পারবে। বুধবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাধারণত, বিদেশ থেকে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আনতে ঐ দেশে ব্যাংকের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউজ খুলতে হয়, কিংবা বিদেশি কোনো এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। ঐ চুক্তিকে ড্রইং অ্যারেঞ্জমেন্ট বলা হয়। এত দিন দেশীয় কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংককে বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো।

একই সঙ্গে ঐ দেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন বা হাইকমিশনের কাছ থেকেও বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জের বিষয়ে ইতিবাচক সুপারিশপত্র আনতে হতো। এখন থেকে এই দুটি বিষয়ে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন নিয়মে চুক্তি করার পর বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। বাংলাদেশ মিশনের প্রত্যয়নপত্র ছাড়াও চুক্তি করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিক বা কোনো দেশে স্হায়ীভাবে বসবাসকারী বিদেশির মালিকানাধীন মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গেই রেমিট্যান্স আনার জন্য চুক্তি করতে পারে, দেশের যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক। কোনো এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বা কোনো দেশ থেকে বছরে কী পরিমাণ রেমিট্যান্স আনা যাবে, তারও একটি সীমা নির্ধারণ করা ছিল হুন্ডি ও বৈধ আয়বহির্ভূত অর্থ লেনদেন ঠেকাতে। ডলার সংকটের মধ্যে সম্প্রতি সেই সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন দৈনিক যে কোনো পরিমাণে রেমিট্যান্স আনার সুযোগ রয়েছে। আবার রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্রও লাগছে না প্রবাসী বা মানি এক্সচেঞ্জগুলোর।
এদিকে চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সাত দিনে ৫৫ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৫ হাজার ২২৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের আগস্টের একই সময়ের চেয়ে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসের সাত দিনে (১ থেকে ৭ আগস্ট) ৩৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই মাসের পর আগস্ট মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লেগেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন এসেছে গড়ে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা ৭৪৬ কোটি টাকা। তবে জুনে শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ১৫.১২ শতাংশ কম।
ইত্তেফাক