Home সারাদেশ রামুতে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান; বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারসহ গ্রেফতার...

রামুতে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান; বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারসহ গ্রেফতার ১

35

চট্টগ্রাম অফিস: কক্সবাজারের রামু উপজেলার তেলখোলাস্থ পানিস্য অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় আনোয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী এতথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার জেলায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি র‌্যাব-১৫ এর দৃষ্টিগোচর হয়। এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীর দ্বারা ডাকাতি, অপহরণ, মাদক পাচার, ছিনতাই ও ধর্ষণের মত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে । ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। র‌্যাব-১৫ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের কারা এসব অস্ত্রের যোগান দিয়ে থাকে, তা অনুসন্ধান ও অভিযান বৃদ্ধি করে র‌্যাব-১৫।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ২টা ১০ মিনিটে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি দল কক্সবাজার জেলার রামু থানার ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলাস্থ পানিস্য এলাকার কালুর বাড়ীর পিছনে দুর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাব সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনার সময় উক্ত স্থানে অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো একটি স্থানে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পায়। র‌্যাবের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে চক্রের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় পলায়নকালে ধাওয়া করে অস্ত্র তৈরীর কারিগর আনোয়ার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামী এবং বর্ণিত এলাকার অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো স্থানের ভিতর হতে ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ১টি দেশীয় তৈরী একনলা শিসা বন্দুক, ১০ রাউন্ড এমজি’র গুলি, ৫০ রাউন্ড এসএমজি’র গুলি, ৮ রাউন্ড গুলির খালি কার্তুজ, ১৫টি শিসা, ১টি ছেনি, ১টি হাতুড়ি, ১টি বাইশ, ২টি রেত, ১টি প্লাস, ৫টি সুপার গ্লু গাম, ৫০ গ্রাম বারুদ এবং ১৫০টি বিয়ারিং বল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী আনোয়ার হোসেন (৩৫) রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের খুরুলিয়ার মুছা আলী সন্তান। । জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আনোয়ার, তার চক্রের অন্যান্য তিনজন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেন। আনোয়ার আরো জানান যে, তিনি ও পলাতক আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত আগেয়াস্র ও গোলাবারুদ তৈরী করে আসছিল।তৈরিকৃত অস্ত্র বিভিন্ন অপরাধী চক্রের নিকট সরবরাহের সাথে জড়িত রয়েছেন। তারা তেলখোলাস্থ পানিস্য এলাকার কালুর বাড়ীর পিছনে পাহাড়ের পাদদেশে অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো স্থানে এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরী করে ।
আনোয়ার আরো জানান যে, তারা তাদের তৈরীকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ কক্সবাজার শহর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রয় ও সরবারাহ করে আসছিলেন। অন্যান্য আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।