Home সারাদেশ রাজশাহীর চারঘাটে অবৈধ পুকুর খনন,চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

রাজশাহীর চারঘাটে অবৈধ পুকুর খনন,চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

17

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো: অবশেষে নিরুপায় হয়ে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন, চাদাবাজি,সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ মাদকের বিস্তার প্রতিরোধসহ নানাবিধ অনিয়মের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করলো রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সর্বসাধারন।

রোববার বিকালে চারঘাট-বানেশ্বর মহাসড়কের বিক্ষোভ মিছিলের পরে দুপাশে দাড়িয়ে মানব প্রচীরের মাধ্যমে সর্বসাধারণের ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসুচীর আয়োজন করেন উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নবাসী। এতে কয়েকশ সাধারন মানুষ ছাড়াও অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। প্রতিবাদে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ, চাদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ অনিয়ম রোধে কয়েক দফা দাবি জানানো হয়। এসব অবৈধ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কঠোর কর্মসুচীর ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।

মানবপ্রাচীর থেকে জানানো হয়, চারঘাট উপজেলা একটি আম প্রধান এলাকা। এছাড়াও ৩ ফসলীর উর্বর জমি রয়েছে এ উপজেলায়। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গুটি কয়েক প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর জুরে সবুজের বুক চিরে একের পর এক অবৈধ ভাবে পুকুর খনন অব্যাহত রাখলেও কার্য্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে বছর জুরেই চলে অবৈধ পুকুর খননসহ সস্ত্রাসী কর্মকান্ড। স্থানীয় গ্রামবাসী একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকক ভাবে এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসলেও নেয়া হয়নি কার্য্যকর ব্যবস্থা। ফলে আমসহ বিভিন্ন বাগান উজার করে তিন ফসলী জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজ চলমান রয়েছে। এতে পুকুরের আশে পাশে জ¦লাবদ্ধাতায় ফসল ফলানো দুৃষ্কর হয়ে উঠছে কৃষকদের। এ ছাড়াও চাদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডেরন মাধ্যমে বিভিন্ন দোকান থেকে পন্য নিয়ে দাম না দেয়া, জোর করে পন্য নিয়ে চলে যাওয়া এখন নিত্যদিনের কাজে পরিনত হয়েছে। বিভন্ন সময় এসবের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীসহ কৃষকরা। কিন্তু রহস্য জনক কারণে পুকুর খননসহ এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিভন্ন অনিয়মে নিরব রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

প্রতিবাদ কর্মসুচীতে বক্তব্য দেন,সরদহ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন সরকার,কলেজ শিক্ষক আসাদুজ্জামান, ইউপি সদস্য ফিরোজ খান,হলিদাগাছী বাজার কমিটির সভাপতি শিপন আহম্মেদ প্রমুখ।

বক্তব্যে বক্তারা বলেন,উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের নাহিদ হাসান,শান্ত ইসলাম,সাব্বির হোসেন,বিদ্যূৎ আলী,ও রাসেলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল শলূয়া ইউনিয়নে অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাদের অবৈধ পুকুর খননসহ চাদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ইউনিয়নবাসী আজ অতিষ্ঠ। তাদের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরাও আজ ভালো ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। তারা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পন্য নিয়ে পন্যের দাম না দিয়ে চলে যাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেও নেমে আসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের খড়গ। তাই অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে গ্রামবাসী প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। চিহিৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন বক্তারা।

এলাকাবাসীর মানবন্ধন কর্মসুচী পালনের কথা শিকার করে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চাদাবাজি বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিষয়ে কেউ কোন ধরণের লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে যখাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম বলেন, ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে কার্য্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চারঘাটে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।