Home সারাদেশ রাজশাহীতে এমটিএফই প্রতারণায় দুজন গ্রেফতার

রাজশাহীতে এমটিএফই প্রতারণায় দুজন গ্রেফতার

27

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী: মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) অ্যাপের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় আরএমপি সদর দপ্তর কনফারেন্স রুমে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, শ্রী দিপেন্দ্রনাথ সাহা (৪৩) ও মোঃ লতিফুল বারী বাবু (৪২)। দিপেন্দ্রনাথ সাহা রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার বিশুহারা গ্রামের শ্রী দিজেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে। অন্য দিকে লতিফুল বারী বাবু নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানা ও গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদের ছেলে।

জানা যায়, দুবাই হতে পরিচালিত কানাডা ভিত্তিক মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) অ্যাপের ফাঁদে ফেলে সাধারণ জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। এর ফলে হাজার হাজার যুবক তাদের জমানো টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আলোচিত বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক এমটিএফই অ্যাপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সাংবাদ প্রচার হয়। সাংবাদটি আলোচিত হলে গত মাসের ২৩ জুলাই রাজশাহী’র জজ কোর্টে বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রাজপাড়া থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থা ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করলে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে প্রতারকরা গা ঢাকা দেয়।

বুধবার (২৩ আগস্ট) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এরপর আরএমপি’র রাজপাড়া থানা পুলিশের নেতৃত্বে সিআইডি রাজশাহী ও পিবিআই রাজশাহী’র যৌথ টিম রাজশাহীর মোহনপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে গুরুতপূর্ণ তথ্য দিয়েছে যা তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ও মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স)-সহ আরএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।