Home বাণিজ্য ও অর্থনীতি রাজশাহীতে ঈদ বাজারে ভিড় থাকলেও বিক্রি কম

রাজশাহীতে ঈদ বাজারে ভিড় থাকলেও বিক্রি কম

60

মো.পাভেল ইসলাম, রাজশাহী: রমজানের মাঝামাঝি দিকে জমে উঠেছে রাজশাহীর ঈদের বেচাকেনা। নগরীর আরডিএ মার্কেট থেকে শুরু করে সবকটি মার্কেট ও বিপণি বিতানে ক্রেতাদের ভিড়। তুলনামূলক বিক্রি কম হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) নগরীর আরডিএ মার্কেটে দেখা গেছে, কসমেটিক্স ও কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। মার্কেকেটের সাদমান ফ্যাশন,আরিবা ফ্যাশন, সাহেব আলী বস্তু বিতান, আহমেদ কালেকশন, সবুজ কালেকশন, স্বপ্নপূরণ শপিং, বৈশাখী ফ্যাশান, বিপ্লব কসমেটিক্স, মেসার্স খন্দকার কসমেটিক্স, জেরিন ম্যাচিং কর্র্ণারসহ বিভিন্ন দোকানে বেচাককেনা ছিল একটু বেশি।

বিক্রি হওয়ার মধ্যে ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলনা, শার্ট, প্যান্ট, মেয়েদের পোশাকের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের থ্রি পিস, শাড়ি, বোরখা ও কসমেটিক্স, ছেলেদের প্যান্ট, গেঞ্জি, শার্ট এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের জুতা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারের কসমেটিক্স এর দোকানগুলোতে দেখা গেছে, আইলানার ৮০ টাকা, মাশকারা ৭০ টাকা, নেইলপলিশ ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ঝুমকা ৭০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, মালা ৫০ থেকে ১৫০ টাকা, নূপুর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বালা ১০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মেয়েদের ড্রেসের পাইকারি বিক্রয় কেন্দ্রের শোভন রেজা বলেন, ঈদের আগেই বেচাবিক্রি ভালো হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লাখ টাকার পোশাক বিক্রি হয়েছে। রোজার ১০ দিন পর থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি হচ্ছে।

আরডিএ মার্কেটের গেটে ভিড় শুধু দেখতে পাবেন। ভেতরে ক্রেতাদের সংখ্যা খুব কম। সব ক্রেতা বাহিরের গেটের থাকা ফুটপাত থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। সেখান থেকেই বিদায়। প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তবে ক্রেতাদের পণ্য কেনার চাহিদা কম।

এদিকে ঈদের বাজারে ছোট বাচ্চাদের কাপড়ের চাহিদার মেটার পর ভিড় করছে খেলনার দোকানে।
জিৎ খেলনা স্টোর থেকে সন্দীপ জানান, প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টি করে রিমোর্ট কন্ট্রোল ভেকু ৬০ থেকে ৬৫০ টাকা, রিমোর্ট কন্ট্রোল হেলিকপ্টার ৩৫০ টাকা, হ্যাকার মুখোশ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সোহানা নামের একজন ক্রেতা জানান, থ্রি পিস কিনেছেন। বাচ্চার গেঞ্জি, ফতুয়া আর শার্ট কিনেছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর খাবার থেকে শুরু করে পরনের কাপড়ের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়ে গেছে। স্বল্প আয়, তাই বেশি ব্যয় করছেন না।

দেলোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, প্রবাদে আছে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। রোজার শেষের দিকে এসেও নগরীর আরডিএ মার্কেটে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি। আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। রাজশাহী নগীর ক্রেতাদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা এক অংশ।

তারাও ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে। বাহিরের চাকরিজীবী ইদ পালন করতে বাড়ি যাচ্ছে। ৫০০ টাকার জিনিস কিনতে ৭ থেকে ৮ জন করে লোক আসছেন। ১০ টি দোকান ঘুরে পছন্দ করছেন। অনেক বিক্রেতারা মনের কষ্টে কম দামে পন্যগুলো বিক্রি করছেন। যা অন্যান্য দোকানীদের ব্যবসার ওপরে খারাপ প্রভাব পড়াব পড়ছে।