Home সারাদেশ রাজশাহীতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে রিক্সা চালানো সেন্টুর পাশে ডিসি শামীম আহমেদ

রাজশাহীতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে রিক্সা চালানো সেন্টুর পাশে ডিসি শামীম আহমেদ

50

মো.পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী অফিস : নগরীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে রিক্সা চালক সেই সেন্টু’র পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টু’র সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।

এসময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসকে জানান,তিনি দীর্ঘ সাত বছর থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে Oxygen Concentrator মেশিনটি কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাবার পরেই,এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ সেন্টুকে দেখতে গিয়ে জানান,তাঁর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। চিকিৎসক বলেছে Oxygen Concentrator মেশিনটা এখন সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। তাই এই মেশিনটা তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেয়ার পরে তার অন্যান্য সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

সেন্টুকে মেডিকেল থেকে রিলিজ (ছুটি) দিলেই জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ডেকেছেন। সেখানে তাঁর সমস্যার কথা শুনে সমাধান করে দেওয়া হবে বলেও সেন্টুকে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

সেন্টুকে আর রিক্সা চালাতে হবে না,কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে’ উল্লেখ্য করে জেলা প্রশাসক আরও বলেন,দীর্ঘ সাত বছর থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। তাই রিক্সা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিক্সার পরিবর্তে তাঁর বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ,সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো.শামসুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার (১৫ মে)পত্রিকায় ‘হাসপাতলে ভর্তি সেই সেন্টু’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি জেলা প্রশাসকের নজরে আসলে তিনি মাইনুরজ্জামান সেন্টু’র খোঁজ খবর নেন বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ।

প্রসঙ্গত, সেন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মাইনুরজ্জামান সেন্টু দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটা অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিরি রিক্সা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন।