Home রাজনীতি রঙিন খোয়াব দেখে কোনো লাভ নেই: বিএনপিকে কাদের

রঙিন খোয়াব দেখে কোনো লাভ নেই: বিএনপিকে কাদের

58

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি রঙিন খোয়াব দেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রঙিন খোয়াব দেখে কোনো লাভ নেই। গতকাল সোমবার বিকালে কদমতলী থানা ও এর অন্তর্গত ৫২,৫৩,৫৮,৫৯,৬০ ও ৬১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন উভয় সংকটে আছে। তাদের অবস্থা এখন জ্বলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ এখন নির্বাচনেও যেতে ভয় পাচ্ছে উল্লেখ করেন তিনি। তাদের নেতা কে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২২ দলীয় ঝগা খিচুড়ির ঐক্য গতবারের মত এবারও একই পরিনতি হবে। তিনি বলেন, যারা দেশে হ্যা-না ভোট করে প্রহসনের নির্বাচন করেছিলেন, আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন এবং ১৫ ই ফেব্রুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিলেন তাদের শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার কোন দরকার নেই। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দল করলে দলের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে, নেতাকর্মীরা ঐক্য থাকলে বিএনপি যতই লাফালাফি করুক তাতে কোন লাভ হবে না। তিনি আরো বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ দূর করে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাছাড়া জনগণের পাশে থেকে তাদের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতি করলেই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতি স্বার্থক হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ক্লিন ইমেজের নেতাদের মাধ্যমে ওয়ার্ড-থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করতে হবে। কোনো ধরনের বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, চাদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের স্থান দেয়া যাবে না। মনে রাখবেন, একজন দুর্নীতিবাজকে কমিটিতে রাখবেন, সে ২০ জন দুর্নীতিবাজকে স্থান দিবে। একজন চাদাবাজ বিশজন চাঁদাবাজকে স্থান দিবে। দলের দু:সময়ে যেসব ছাত্রনেতারা আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং এলাকায় সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা আছে, এমন ব্যাক্তিদের আগামীতে কমিটিতে আনা হবে।
আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে রাজধানীর কদমতলী-শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুমরে গুমরে কাঁদছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। কিন্তু কদমতলী-শ্যামপুর নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নেই। যার কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় অবস্থায় আছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিল বলে নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে দলের নেতা-কর্মীরা গুমরে গুমরে কাঁদছে। সন্ত্রাসীদের জেল থেকে বের করে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজে লাগাচ্ছেন এমন অভিযোগও করেন সানজিদা খানম। তিনি বলেন, যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, পরীক্ষিত তাদের যেন সঠিক মূল্যায়ন করা হয়। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দালালরা যাতে ওয়ার্ড ও থানায় পদ না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দীলিপ রায়,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন,
সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ, ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক প্রমূখ।