মেননের বক্তব্যে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট: গত বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।খবর আমাদের সময়.কম
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ‘রেজিম চেঞ্জ’ কৌশলের অংশ। তারা সেন্টমার্টিন চায়, কোয়াডে (কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) বাংলাদেশকে চায়। বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে তারা সব কিছু করছে।
সিনিয়র রাজনীতিবিদ মেননের এই দাবির পর তোলপাড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য কী, তা জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ।
দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার তারিক চয়ন তার রিপোর্টে জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করেছেন। দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর শন ম্যাকিনটোশ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ শক্তিশালী এবং সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব বজায় রাখে। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। দেশটির কোনো ভূখণ্ডের ওপর আমরা কোনো দাবি করিনি। নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে আমরা মূল্য দিই এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের প্রচারে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করি।

এদিকে, কোয়াড প্রসঙ্গে মেননের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কিছুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরের বক্তব্য তুলে ধরেছে মার্কিন দূতাবাস।

দূতাবাস বলেছে, কোয়াড সম্প্রসারণ সম্পর্কে মে মাসে এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, এই মুহূর্তে নতুন সদস্য নেওয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কোয়াড সদস্যরা আপাতত জোটের শক্তি-সামর্থ্যরে দিকগুলো সুদৃঢ় করার ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে, ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের একটি বিস্তৃত পরিসরের সঙ্গে কাজ করার সুযোগকে স্বাগত জানায় কোয়াড। যেমন, তার ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের মাধ্যমে মেরিটাইম ডোমেন সচেতনতা, যা এই অঞ্চলের চারপাশে অত্যাধুনিক মেরিটাইম ডোমেন সচেতনতা প্রযুক্তি সরবরাহ করছে।

উল্লেখ্য, মেরিটাইম ডোমেন সচেতনতা হলো সামুদ্রিক ডোমেনের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো কিছুর কার্যকর বোঝাপড়া যা নিরাপত্তা, অর্থনীতি বা সামুদ্রিক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে।