Home সাহিত্য ও বিনোদন যাত্রাশিল্প নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম

যাত্রাশিল্প নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম

35

জাবি প্রতিনিধি: শিল্পে ঐক্যতানের সমন্বয়ে দেশজ ও আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি চর্চা লালন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। নাটক, পাপেট, চলচ্চিত্র, যাত্রা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে বেশকিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ। এর মধ্যে অন্যতম যাত্রাপালা। যাত্রাপালা আমাদের দেশের সুদূর অতীতে গ্রামে সুরুচিপূর্ণ ও আকর্ষনীয় বিনোদন হিসেবে দর্শককে বিপুল আনন্দ প্রদান করতো এবং বিনোদনের অন্যতম শিল্প মাধ্যম ছিলো যাত্রাপালা। যাত্রাপালার পুরনো সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষে ও যাত্রা শিল্পেকে দর্শকনন্দিত করার জন্য শিল্পকলা একাডেমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র পরিকল্পনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ২০১২-১৩ অর্থ বছরে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমির অংশগ্রহণে ৭৬টি মুক্তযুদ্ধভিত্তিক নাটক নিয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় নাট্যোৎসব’, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে দেশের ৬৪ জেলার অংশগ্রহণে আয়োজন করে ‘স্বপ্ন ও দ্রোহের নাট্যোৎসব’, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ‘সাহিত্য নির্ভর জাতীয় নাট্যোৎসব’ এবং মানুষের প্রয়োজনীয়তা ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতেকে সামনে রেখে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে মূল্যবোধের নাট্যউৎসব আয়োজন করে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে জেলাভিত্তিক কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ অবলম্বনে নির্মিত হয় ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাটক। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৬৪ জেলায় নির্মিত হয়েছে দেশীয় যাত্রাপালা।

ইতোমধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সুষ্ঠু যাত্রা শিল্পের প্রসারের জন্য যাত্রা শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০১২ প্রণিত হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে ২০১৩ থেকে শিল্পকলা একাডেমি যাত্রাশিল্প নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে। একাডেমিতে আবেদন ও নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১০৬টি যাত্রাদলকে নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও যাত্রাশিল্পের উন্নয়নে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনীসহ বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ইতিবাচক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে যাত্রাশিল্পের হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।