Home জাতীয় মৌসুমি ফলের পাশাপাশি কলাপাড়ায় কদর বেড়েছে পানি তালের

মৌসুমি ফলের পাশাপাশি কলাপাড়ায় কদর বেড়েছে পানি তালের

50

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: চলছে মুধমাস জৈষ্ঠ্য। এই মাসে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু ফল। আর এই মৌসুমি ফলের পাশাপাশি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানি তালের কদর বেড়েছে। এ ফলের শ্বাস ভ্যাপসা গরমে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে বেশ ভূমিকা রাখে। পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ সুস্বাদু এই তালের শ্বাসে রয়েছে ওষুধি গুন। শুধু শ্বাসই নয়, তালের রস, গুড়, পিঠা ও পাকা তালের বিচির শ্বাঁস সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয়। তাই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পানি তালের শ্বাস বিক্রির ধুম পড়েছে। এছাড়া স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে পানি তাল এখন রপ্তানি হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। লাভ হওয়ায় এই ফল সরবরাহে গ্রামের পর গ্রাম ছুটে বেড়াচ্ছেন ফড়িয়ারা। তবে এই ফলটি কিনে খেতে দামের বিষয়ে খুব একটা আমলে আনছেন না ক্রেতারা।
স্থানীয়রা জানান, বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ্যের শেষ পর্যন্ত ফড়িয়ারা এই তাল ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করবেন। গ্রাম থেকে ১০০ কিংবা ১৫০ টাকা দরে শত কিনা হচ্ছে। তবে স্থানীয় বাজারে এক একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। বর্তমানে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলিগলিতে এই মৌসুমী ফল তালের শ্বাস বিক্রি বেড়ে গেছে। অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ক তাল ফল পাইকারী কিনে এনে কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করছেন।
পানি তাল বিক্রেতা ইমাম হোসন জানান, প্রতিটি তালের ভেতরে ৩ টি শ্বাস থাকে। গড়ে আকার ভেদে পাইকারি হারে এক একটি পানি তাল ৫ থেকে ৬ টাকা কেনা হচ্ছে। গরম পড়লে তালের শ্বাস অনেক ভালো বিক্রি হয়। প্রতি বছর এই মৌসুমে তালের শ্বাস বিক্রি করে থাকেন বলে তিনি জানিয়েছে।
উপজেলার বাবলাতলা বাজারে মায়ের দেয়া বানিজ্যালয়ে পরিচালক মো. মাসুদ বলেন, এ এলাকা থেকে প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার তাল সরবরাহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে প্রচন্ড গরম থাকায় তালের শ্বাসের চাহিদা রয়েছে অনেক।
স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা বলেছেন, তালের শ্বাস শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তালের শ্বাসের জলীয় অংশ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। এছাড়া ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স পানিপানের তৃপ্তি বাড়ায়। বমিভাব আর বিস্বাদ দূর করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাল শ্বাস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, তাল গাছ একটি অর্থকারি ফসল। বিশেষ করে বর্জ্রপাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে গত এক বছরে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় শতাধিক তালের বিচি রোপন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে তালগাছ রোপনের বিষয়ে কৃষকদেরও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।