Home জাতীয় মোংলায় চীনা প্রকৌশলীসহ দুজনকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের

মোংলায় চীনা প্রকৌশলীসহ দুজনকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের

133

মোংলা ( বাগেরহাট ) থেকে মোঃ নূর আলমঃ মোংলা বন্দরের ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্পের চায়না প্রকৌশলীসহ দুজনকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আহতদের খুলনা ও মোংলায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মামলা ও বন্দর সুত্রে জানাযায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল সংলগ্ন চিলা-জয়মনির কোলাবাড়ী এলাকায় হামলার শিকার হন ড্রেজিং প্রকল্পে নিয়োজিত চায়না প্রকৌশলী অং ইয়াও (৪৫) ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশী প্রকৌশলী তন্ময় (৪০) নামক দুই ব্যাক্তি।

এর পর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী ও ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্পের পরিচালক শেখ শওকত আলী বাদী হয়ে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জনকে আসামী করে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী দাবি করেন, মোংলা বন্দরের ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্পের খননকাজে নিয়োজিত চায়না প্রকৌশলী অং ইয়াও (৪৫) ও সাইড ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় (৪০) কাজের তদারকিতে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কোলাবাড়ী এলাকায় যান। সে সময় কতিপয় লোকজন অতর্কিতভাবে চায়না প্রকৌশলী অং ইয়াও ও এ দেশীয় প্রকৌশলী তন্ময়ের ওপর হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা ওই দুই প্রকৌশলীকে হাতুড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে দেশীয় প্রকৌশলী তন্ময়কে খুলনার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর চায়না প্রকৌশলী অং ইয়াও মোংলার চায়না প্রজেক্টের সংরক্ষিত এলাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিলা ইউনিয়ন কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের নেতা মোঃ আলম গাজী, বিজন কুমার বৈদ্য এবং হুমায়ুন কবির বলেন হামলার সাথে স্থানীয় কৃষিজমি মালিকদের কোন সম্পৃক্তা নেই। যতদুর জেনেছি কতিপয় কোম্পানীর লোকরা হামলার সাথে সম্পৃক্ত। স্থানীয় কৃষিজমির মালিকরা নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে এবং তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এজাতীয় ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। উল্ল্যেখ্য মোংলা বন্দর কর্তৃক পশুর চ্যানেল ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম চলছে চিলা ইউনিয়নের কোলাবাড়ী এলাকায়। এই ড্রেজিং কার্যক্রম’র জন্য মোট ১৫ শো একর জমি প্রয়োজন। এরমধ্যে চিলা ইউনিয়নে স্থানীয় ব্যক্তির কৃষিজমির মালিকানাধীন এবং কয়েকটি কোম্পানীর মালিকানাধীন সাতশো একর জমি রয়েছে। কোম্পানির লোকজন ড্রেজিং কার্যক্রমের বাধা দিলে সোমবার সংঘর্ষের ঘটনার এক পর্যায়ে ১জন চীনা প্রকৌশলী ও ১জন বাংলাদেশী প্রকৌশলী আহত হন।