ডেস্ক রিপোর্ট: বায়রা সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্যসহ শ্রমবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। নেপালসহ অন্যান্য দেশ থেকে মালয়েশিয়া শ্রমিক নিলেও নানা জটিলতায় বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার হারাতে পারে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক ও বায়রার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। আলোচনায় অংশ নেন সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন এম এম শাকিল আহমেদ, হাবের সভাপতি এম শাহাদাৎ হোসেন তসলিম, বায়রার সাবেক মহাসচিব মুনছুর আহমেদ কালাম প্রমূখ।

ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জনশক্তি রপ্তানী খাত দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালু হলে এই খাতে কর্মসংস্থান আরো বাড়বে। তাই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই শ্রমকাজার চালুর বিষয়ে সকল বিভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে সেখানে জনশক্তি পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দ্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে। এমনকি প্রবাসীরা যাতে সহজে দেশে অর্থ পাঠাতে পারে সে বিষয়টিও দেখতে হবে। এ সকল বিষয়ে মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বেনজির আহমেদ বলেন, গত ডিসেম্বরে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও এখনো লোক পাঠানো শুরু হয়নি। আগেও কয়েকবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর প্রক্রিয়া শুরু হলে তা দেশি-বিদেশী চক্রান্তে বন্ধ হয়ে যায়। তাই সকল বিভেদ ভুলে আগে সেখানে লোক পাঠানো শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, আগামীতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। যা আমাদের প্রবাসী আয় বৃদ্ধি করবে।-আমাদের সময়.কম