বরিশাল অফিস: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, জনগণ দেশের মালিক, কিন্তু জনগণকে কথা বলতে দেয়া হয় না। কথা বলতে চাইলে হয়রানি করা হচ্ছে। তারপরও আমরা জনগণের কথা বলতে চাই। পরিস্থিতির উত্তরণে আমরা কর্মসুচী দেবো। সেই কর্মসুচীতে সবাইকে কাধে কাধ মিলিয়ে রাজপথে থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো শহর। বুধবার ঢাকা থেকে শতাধিক গাড়ীর বহর নিয়ে সড়কপথে বাকেরগঞ্জে আসেন জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান সাবেকমন্ত্রী এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে জাপার কেন্দ্রীয় নেতারা। নেতারা গাড়ীর বহর ও সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বরিশাল হয়ে বাকেরগঞ্জ ও দুমকিতে শোডাউন করে। এসময় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। রাস্তাঘাটে উৎসুক মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন,
দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানি তেলের দামে জনজীবন বিপর্যস্থ। এ অবস্থা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চাই।
সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রত্না আমিন হাওলাদারের সমম্বয়ে সভাপতিত্ব করেন কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের মানুষ সুশাসন চায়। এরশাদের শাসনামলে ফিরে যেতে চায়। নব্বইয়ের পর থেকে দেশের মানুষ ভালো নেই, সুখে নেই। দেশকে ভালো রাখতে হলে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙা, সাহিদুর রহমান টেপা, সোলাইমান আলম শেঠ, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, মেজর অব. রানা মো. সোহেল, রওশন আরা মান্নান এমপি, মনিরিল ইসলাম মিলন, দলীয় সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, নুরুল ইসলাম তালুকদার, আদেলুর রহমান আদেল প্রমুখ।
এরআগে সকালে বাকেরগঞ্জে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রত্না আমিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জিএম কাদের। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।