স্টাফ রিপোটার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটা অশুভ চক্র বোঝাতে চায়; আওয়ামী লীগের হাতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। পূজা কমিটি আমাকে বলেছে; সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না। কেন বিচার হবে না! বাংলাদেশে কত অপরাধীর বিচার শেখ হাসিনা করেছেন। এমনকি নিজের দলের লোকেরাও জেলে আছেন। হিন্দুদের মন্দিরে, বাড়ি-ঘরে-মন্ডপে হামলা হলে দুর্বৃত্তদের ক্ষমা নেই। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একটি অশুভ চক্র হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে তার দায় সরকারের ওপর চাপাতে চায় । আজ রোববার রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন পূজামন্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে একটা অশুভ চক্র হিন্দুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভারত সরকারকে জানিয়ে দিতে চায়, কাজটা আওয়ামী লীগ করেছে। ওই অশুভ শক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতি আমরা করব, কিন্তু এই দুর্গা উৎসবে কোনো রাজনীতি নেই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান, শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মকর্ম করতে দিন। সংলাপ করছেন করুন, সেটা আপনাদের নিজেদের ব্যাপার। দুর্গা উৎসব দশমী পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দল আপনাদেরও ভূমিকা আছে। আপনারাও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।’
হিন্দু ধর্মালম্বীদের অভয় দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না; আতঙ্কিত হবেন না। এবার আমরা প্রস্তুত আছি। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সতর্ক আছে আপনারও কোন চিন্তা করবেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার একাধারে ১৩ বছর ক্ষমতার মঞ্চে আসীন আছে। এই ১৩ বছরে ১৩ বার দুর্গাপূজা হয়েছে। ৩০ হাজার পুজামন্ডপ হয়েছে। এবার ৩২ হাজারের বেশি পূজা মন্ডপ রয়েছে। আপনাদের স্মরণ করে দিতে চাই এই ১৩ বছরে মাত্র একবার দুর্গাপূজা সহিংসতার টার্গেট হয়েছে; সাম্প্রদায়িকতার টার্গেট হয়েছে; দুর্বৃত্তদের টার্গেট হয়েছে; সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়িঘর টার্গেট হয়েছে; মন্দির টার্গেট হয়েছে; তাদের ঘরবাড়ি দোকানপাটে পর্যন্ত হামলা হয়েছে। আমি বলতে চাই একাধারে ১১ বছর দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে হয়েছে। কোন শান্তি বিনষ্ট হয়নি। কিন্তু গতবার দুর্ভাগ্যজনক কিছু ঘটনা ঘটে গেছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায়সহ মহানগর ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।