Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস “ভর্তি ফী কমানোর দাবিতে ফের আন্দোলন উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি”

“ভর্তি ফী কমানোর দাবিতে ফের আন্দোলন উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি”

40

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বেতনসহ বিভিন্ন ফী কমানোর দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।

২৭ অক্টোবর সকাল ৯ টায় সূচনা হয় ফি কমনোর দাবিতে আন্দোলন। দ্বিতীয় দিনের মতো আজ ২৮ অক্টোবর সকাল ৯ টা নাগাদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যায় সধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ রাখা হবে এবং শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের দাবি মেনে নিয়ে নোটিশ আকারে তা প্রকাশ করতে হবে। তার আগে আমাদের আন্দোলন বন্ধ হবে না এবং যথারীতি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ থাকবে। আমরা প্রশাসনকে সব বিষয়ে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু প্রশাসন আমাদের দাবি না মানলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে শিক্ষার্থীরা।

দাবির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টারের বেতন ১২০০ টাকার বদলে ৬০০ টাকা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ২০০ টাকার বদলে ২০ টাকা, ছাত্র কল্যাণ ১৫০ টাকার বদলে ৫০ টাকা, আইডি কার্ড ৪০০ এর বদলে ৫০, চিকিৎসা ফি ২০০ এর বদলে ৫০, পরিবহন ফি ৬০০ এর বদলে ৩০০, রোভার স্কাউটস ও বিএনসিসি ১০০ এর বদলে ৪০, সিলেবাস ১৫০ টাকার বদলে ৫০ টাকা করতে হবে। আর কম্পিউটার ও ইন্টারনেট, স্টুডেন্ট গাইডেন্স অ্যান্ড কাউন্সিলিং, বিভাগ উন্নয়ন, কেন্দ্র ফিসহ সকল অমূলক ফি বাতিল করতে হবে। এছাড়া প্রতি ক্রেডিট ফি ৫০, প্রবেশপত্র ফি ৫ টাকাসহ হলের সিট ভাড়া ৭৫ এবং সংস্থাপন ফি ৭৫ টাকা করতে হবে।

গতকাল বিকাল ৪ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলন স্থানে এসে আনুষ্ঠানিক একাত্মতা প্রকাশ করে। ছাত্রলীগের কর্মীরা এসময় বলেন, আমরাও এদের মতো সধারন শিক্ষার্থী, ফি কমানোর এ দাবি আমাদের সকলের প্রাণের দাবি। অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের স্থানে এসে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামিকাল শুক্রবার মাননীয় উপাচার্য বিকাল ৩ টায় সধারন শিক্ষার্থীদের সাথে দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর রাতে বিজয় দিবস হলের সম্মুখে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ফি এর নোটিশের প্রতিবাদে প্রথম আন্দোলনের সূচনা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।