Home সাহিত্য ও বিনোদন “বীরকন্যা প্রীতিলতা” চলচ্চিত্রের প্রচারণায় তিশা

“বীরকন্যা প্রীতিলতা” চলচ্চিত্রের প্রচারণায় তিশা

38

স্টাফ রিপোটার: আজ ২৪ জানুয়ারি “বীরকন্যা প্রীতিলতা” চলচ্চিত্রের প্রচারণায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্সে গেলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা সহ ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। হল রিলিজ হবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রথমেই শিক্ষার্থীদের উচ্ছাসপূর্ণ আয়োজনে তিশাকে ঘিরে চলে সেলফি তোলার উম্মাদনা। এ যেন সত্যিকারের প্রীতিলতাকে কাছে পাওয়া। আয়োজনের শুরুতেই রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্সের ট্রেজারার ড. মোহাম্মদ জুলফিকার আলী বলেন, আমাদের জন্য আজ বিশেষ সৌভাগ্যের দিন। বীরকন্যা প্রীতিলতা চলচ্চিত্রের কলাকুশলীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। আমি মনে করি এই চলচ্চিত্রটি দেখার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে তোলা ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্সের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়্যারম্যান মোহাম্মদ আরিফুল হক সোহান বলেন, বীরকন্যা প্রীতিলতা আমাদের এই ভূখন্ডের এমন এক সাহসী নারী যাকে নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা উপমহাদেশেই সাহিত্য ও প্রবন্ধ রচনা হয়েছে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্র্মিত এই চলচ্চিত্রের পাশে থাকতে পেরে আমাদের বিশ^বিদ্যালয় গর্বিত। আনন্দ-উচ্ছাসে ভরপুর এই আয়োজনে নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, আজকের এই সকালে আপনাদের ক্যাম্পাসে আসতে পেরে আমি সত্যি আনন্দিত। বীরকন্যা চলচ্চিত্রটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ। আপনাদের উদ্দেশ্যে এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে পরিচালক প্রদীপ ঘোষ বলেন, চলচ্চিত্র “বীরকন্যা প্রীতিলতা” রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি) এ প্রিমিয়ার শো এর মাধ্যমে মুক্তি পাবে।

প্রিমিয়ার শো এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম.পি। প্রিমিয়ার শো এর পর ৩ ফেব্রæয়ারি থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের সিনেমা হল গুলোতে একইসাথে প্রদর্শিত হবে এই ছবিটি। নানা জটিলতার কারণে মুক্তির তারিখ পিছিয়ে অবশেষে ভাষার মাসে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রটি। এ কারণে প্রচারণা পুনরায় শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা অর্ধেক মূল্যে (হাফ পাস) ছবিটি দেখার ব্যবস্থা করেছি। সকল বিশ^বিদ্যালয়ে ছবিটি প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আমরা বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই বিশ^বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে এবং চলচ্চিত্রের গবেষণা পরামর্শক শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেনের প্রতি। ছবিটির নির্মাতা আরো বলেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবন নিয়ে নির্মিত “বীরকন্যা প্রীতিলতা” চলচ্চিত্রটি একটি ইতিহাস নির্ভর চলচ্চিত্র। এ ধরনের কাজ শুধু বাংলাদেশেই নয় পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে বলে আমরা মনে করি। আমরা চলচ্চিত্রটির সিংহভাগ শুটিং ঐতিহাসিক স্থানসমূহে করার চেষ্টা করেছি। আশা করি দর্শকরা চলচ্চিত্রটি দেখে মুগ্ধ হবেন।