Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বিজ্ঞান বিরোধীরা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভিক্ষুক বানাতে চায়: শিক্ষামন্ত্রী

বিজ্ঞান বিরোধীরা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভিক্ষুক বানাতে চায়: শিক্ষামন্ত্রী

33

স্টাফ রিপোটার : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পড়ানোর বিরোধিতাকারী ও জঙ্গিবাদের প্রশ্রয়দাতারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভিক্ষুক বানাতে চায়, দেশকে ভিক্ষুক বানাতে চায়। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা কি বিজ্ঞান প্রযুক্তি পড়বেনা? শুধু কি নামাজ পড়াবে আর নিজে একটি করে মাদ্রাসা তৈরি করবে?কিন্তু আমরা দেশকে ভিক্ষুকের দেশ বানাতে দিতে পারিনা।

মন্ত্রী আজ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাশের দেশের ছবি দিয়ে, ফটোশপ করে বলা হলো—এইটা আমাদের বাচ্চাদের পড়ানো হচ্ছে। যেবই দেশেই পড়ানো হয়না। একেবারে কদর্য ভাষায় মিথ্যাচার। আপনারা বলেন, মিথ্যাচার কি ইসলাম সমর্থন করে? আপনারা ইসলামের শিক্ষক আপনরাই বলেন। সমর্থন করেনা। শিক্ষকদের, মন্ত্রীকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ, হুমকি দেওয়া এর কোনোটাই কি ইসলাম সমর্থন করে? ভুল থাকলে সংশোধন করবো। যেখানে ভুল পেয়েছি সেখানে সংশোধন করেছি, আরো ভুল থাকলে সংশোধন করবো। কমিটি ও গঠন করা হয়েছে, কমিটি দেখবে। ২৬টি বই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তৈরি করা সহজ কাজ নয়।

শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিখতে দেবেনা, তারাতো দেখি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বেশি ব্যবহার করে। ফেসবুকে মিথ্যাচার তারাইতো বেশিই করে। তাহলে প্রযুক্তি নেবো ইসলাম বিরোধী কাজ করার জন্য? মিথ্যাচার করার জন্য?তারাকি ইসলামের সেবক? মানুষ এক সময় হেঁটে, উটের পিঠে চড়ে হজ করতে যেতো, এখনতো আমরা বিমানে যাই। তাহলে কি বিমানে যাওয়া বন্ধ করে দেবো?আমরা মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করে দেবো? পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলে উঠবোনা? আমার মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ডাক্তার হবেনা?ইঞ্জিনিয়ার, বৈমানিক হবেনা? শুধু কি মসজিদে নামাজ পড়াবে?না হলে নিজে আরেকটা মাদ্রাসা খুলবে? তানা হলে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতো লাগবেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যেজ্ঞান তা হঠাৎ করে এসে পড়েছে নাকি শিখতে হয়েছে? আল্লাহ প্রত্যেককে একটি (প্রতেক্যের মগজ) সুপার কম্পিউটার দিয়েছে, সেটি কাজে লাগাবোনা? এইটি যে ব্যবহার করবোনা, এই কথা যারা বলে, তাদের চেয়ে বড় ইসলামের শত্রু আর হতে পারেনা। আল্লাহ প্রথম কথা বলেছেন—পড়ো। আর এরা পড়তেই মানা করে, শিখতেই মানা করে। আমাদের নবীজি কোন হাত পছন্দ করেতেন? দাতার হাত পছন্দ করতেন। আর উনারা যা শেখাবার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞান প্রযুক্তি বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে। আমরা বাঙালিকে কখন ও ভিক্ষুকের জাতি থাকতে দিতে পারিনা। সে জাতিকে এগিয়ে নিতে চাই। যারা আমাদের দেশকে ভিক্ষুক করে রাখতে চায়, যারা দেশের অগ্রগতিকে রুখতে চায়, যারা জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিতে চায় সেরকম লোককে আমরা কখনই ভাবতে পারিনা,যে তারা ইসলামের সেবক। কাজেই আপনারা সোচ্চার হবেন। হয়েছেনও সে জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে, বাস্তবায়ন করা অনেক শক্ত। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হাবিবুরর হমান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তেলাওয়াত হোসেন খান এবং শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।