ডেস্ক রিপোর্ট: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তালেবানের হাতে নির্যাতিত সাংবাদিকদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছবি পোস্ট করেছেন লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের পরারাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিবেদক মারকাস ইয়াম। অন্যটি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম এতিলাত্রোজ। মারকাস ইয়ামের টুইট করা ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় দুই সাংবাদিকের অন্তর্বাস ছাড়া সব পোশাক খুলে ফেলা হয়েছে। তাদের পিঠ এবং পায়ে অসংখ্য মারপিটের দাগ। বেধড়ক মারপিটে রক্তাক্ত ও কালো হয়ে গেছে তাদের শরীর।
এতিলাত্রোজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার দেশটির রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলের কারট-ই-চার এলাকায় নারীদের বিক্ষোভের সংবাদ কভার করছিলেন এতিলাত্রোজের ভিডিও সম্পাদক তাকি দারিয়াবি এবং প্রতিবেদক নেমাতুল্লাহ। সংবাদ কভার করার সময়ই নারীদের বিক্ষোভের স্থান থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় তালেবান। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তাদের বদ্ধ কক্ষে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট ও নির্যাতন করে তালেবানের সদস্যরা।
দারায়াবি ও নাকদি নামের ওই দুই সংবাদকর্মী বুধবার (৯অক্টোবর) কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত কারত-এ-চর এলাকায় নারীদের তালেবানবিরোধী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে যান। পরে তালেবান সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে।
নাকদি লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে বলেন, আমরা চিৎকার করে বলেছিলাম যে, আমরা সাংবাদিক। আমার মনে হয়েছিল তারা আমাকে মেরে ফেলবে। তারা আমাদের দেখে উপহাস করছিল।
এতিলাত্রোজের প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান আরও ৩ সাংবাদিককে অপহরণ করেছিল। এই সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছে ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম ইউরোনিউজের স্থানীয় প্রধান। পরে তাদের কোনো ক্ষতি না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
এতিলাত্রোজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিওএলও নিউজের ক্যামেরা পার্সন ওয়াহিদ আহমাদি এবং আরিয়ানা নিউজের ক্যামেরাপার্সন শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান।
এর আগে কাবুলে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থানে চলা তালেবান বিরোধী মিছিলে শূন্যে গুলি ছুড়ে এক বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করেছে তালেবান সদস্যরা।
২ দিন আগে ৫ সেপ্টেম্বর কাবুলে নিজেদের অধিকার রক্ষার দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভে নামা অর্ধশত নারীদের বিক্ষোভ কাঁদানে গ্যাস ও পিপার স্পে ছূুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে তালেবান সদস্যরা।
গত মাসে আফগান সংবাদমাধ্যম টিওএলও নিউজের সাংবাদিক জিয়ার ইয়াদ খানকে তালেবান হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ডয়চে ভেলের এক সাংবাদিককে না পেয়ে তার আত্মীয়কে হত্যা করে তালেবান।-আমাদের সময়.কম