Home সারাদেশ বানারীপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধে হামলায় আহত হিমোফিলিয়া রোগী সজিবকে ঢাকায় প্রেরণ

বানারীপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধে হামলায় আহত হিমোফিলিয়া রোগী সজিবকে ঢাকায় প্রেরণ

42

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় দিদিহার গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত সজিব ও তার বাবা আব্দুল হাই আহত হয়েছেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ১৩ আগস্ট শনিবার বিকালে সজিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় আহত সজিবের মা সুবর্ণা পারভীন বাদী হয়ে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দিদিহার গ্রামের মৃত মুজাহার উদ্দিন বেপারীর ছেলে মো মোশারেফ রেপারী ও আনিচুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন সুমিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের দিদিহার গ্রামের বাদীর ছেলে হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তারা নিজের স্বামীর পৈত্রিক বাড়ি রেখে বানারীপাড়া পৌর শহরে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। আসামীরা তাদের দুরসম্পর্কের আত্মীয়। আসামীরা বিগত দিনে সজিবদের গ্রামের বাড়ির ওই সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা করলে বাদীপক্ষ দো-চালা টিনের ঘর উত্তোলন করেন। ঘটনার দিন ৬ আগষ্ট সকালে আব্দুল হাই তার স্ত্রী সুর্বনা পারভীন ও ছেলে আল-আমিন সজিব বানারীপাড়া পৌর শহর থেকে তাদের দিদিহার গ্রামের বাড়ির গাছ বিক্রি করতে গেলে আসামীরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং গাছ ক্রেতাদের তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে বাকবিন্ডার এক পর্যায়ে হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত সজিবকে বেদম মারধর করা হয়। হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের সামান্য আঘাতে মৃত্যু ঝুঁকি থাকে জেনেও তারা সজিবের মাথা,হাত ও পাসহ সারা শরীর পিটিয়ে জখম করে। হামলাকারীদের হাত থেকে এসময় ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে আব্দুল হাইকেও মারধর করা হয়। গুরুতর আহত সজিবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ১৩ আগস্ট শনিবার বিকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে সজিবের বড় ভাই শাওনের অকাল মৃত্যু হয়। সজিবের মাথায় আঘাতের কারনে তার অবস্থাও গুরুতর। এদিকে আহত সজিব তার ওপর হামলার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে সৈয়দকাঠির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টুকে দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছে। তার মৃত্যু হলে সাবেক ওই চেয়ারম্যান দায়ী থাকবেন বলেও ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়। এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৈয়দকাঠি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টু।