বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় আহম্মদাবাদ বেতাল হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ. হালিমের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গঠিত দাতা সদস্য ইয়ার হোসেনের নেতৃত্বাধিন ৫ সদস্যের নিরীক্ষা কমিটি সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মাদ্রাসার গভর্নিং বডির নতুন সভাপতি উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক এমএ ওহাবের বরাবরে দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ আ. হালিমের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১৩ টি খাতে মোট ২ লাখ ৫৪৫ টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে ৬ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত হওয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে অধ্যক্ষ মাওলানা আ. হালিমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনেরও সুপারিশ করা হয়। মাদ্রাসার শিক্ষক মিলনায়তনে গর্ভনিংবডির সভাপতি এমএ ওহাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় শিক্ষানুরাগী সদস্য ও সাবেক সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন মোল্লাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ,শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য গত ১২ ফেব্রুয়ারী গভর্নিংবডি দাতা সদস্য মো. ইয়ার হোসেনকে আহবায়ক,অভিভাবক সদস্য জসিম উদ্দিন,প্রভাষক কাজী হারুন-অর-রশিদ,প্রভাষক শফিকুল ইসলাম ও সহকারি শিক্ষক সুলতান হোসেন মৃধাকে সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেছিল। এদিকে আহম্মদাবাদ বেতাল হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ. হালিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসার গর্ভনিংবডির সভাপতি এমএ ওহাব বলেন পূর্বে কি হয়েছে সেটা তার দেখার বিষয় নয় তার আমলের বিষয়গুলো তিনি দেখবেন। তার এ বক্তব্যের বিরোধীতা করে পূর্বের কমিটির করা নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদন এড়ানোর কোন সুযোগ নেই বলে মত প্রকাশ করে গর্ভনিংবডির অপর সদস্য ও নিরীক্ষা কমিটি এবং অভিভাবকরা অধ্যক্ষের অপসারন দাবি করেছেন।