Home জাতীয় ছাত্রমৈত্রীর গৌরবের ৪২ বছর

ছাত্রমৈত্রীর গৌরবের ৪২ বছর

44

সৈয়দ আমিরুজ্জামান:

৬ ডিসেম্বর শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর গৌরবের ৪২ বছর পূর্ণ হলো। আমারও সুযোগ হয়েছিল, এরশাদ স্বৈরাচার বিরোধী দীর্ঘ নয় বছরের ছাত্র গণআন্দোলনসহ ‘৯০-এর মহান গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণের, সাংগঠনিকভাবে ‘৮৫ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পর গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নে, পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন ‘৯২ সালে একীভূত হওয়ার পর ছাত্রমৈত্রীর তিন মেয়াদে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা জেলা শাখা সভাপতির দায়িত্ব পালন করার।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে, শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী এদেশের ছাত্র সমাজের কাছে প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন। মেহনতী জনতার সাথে একাত্ম হওয়ার রাজনৈতিক দিশা নিয়ে, মেহনতী মানুষের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাহসী ভূমিকার ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। মহান ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাসের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার, সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার আহবান নিয়ে ১৯৫২ সালের ২৬ শে এপ্রিল গড়ে উঠে তৎকালীন ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন’। তারই ধারাবাহিকতা এবং উত্তরাধিকার বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী।
‘৬০-এর দশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলা ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন’ থমকে দাঁড়ায় কমিউনিস্ট আন্দোলনের আন্তর্জাতিক মহাবিতর্কে। বিভক্ত হয় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন। আপোষকামিতা ও সুবিধাবাদকে পরিহার করে সাম্রাজ্যবাদ, স্বৈরাচার এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আপোষহীনভাবে এগিয়ে নিয়েছেন ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’র পূর্বসুরীরা। ‘৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ আসাদ আমাদের গর্ব। ‘৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং স্বৈরশাসন উৎখাতে লাখো শহীদ আমাদের প্রেরণা।
এদেশের প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে ধারাবাহিক ভাঙ্গন আমাদের আন্দোলনের ঐতিহ্যকে নিঃশেষ করছিল। সাম্রাজ্যবাদ, স্বৈরাচার এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের এ রকম ক্রান্তিকালে, ১৯৮০ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান বুকে ধারণ করে তৎকালীন প্রগতিশীল ৪টি সংগঠন যথাক্রমে (১) জাতীয় ছাত্র আন্দোলন (২) জাতীয় ছাত্র দল (৩) জাতীয় ছাত্র দল এবং (৪) বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’ গঠন করে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের ধারাকে শক্তিশালী করে। অতীতের ভূল-ভ্রান্তিকে সচেতনতার সাথে এড়িয়ে ঐক্যের ধারাবাহিক সংগ্রামে ১৯৮১ সালে জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশ, ১৯৮৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন’-এর একটি অংশ, ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের আরেকটি অংশের ঐক্যের মধ্য দিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’ সুস্থ ধারার ছাত্র আন্দোলনে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর ঐক্যের মোহনায় মিলেছে ‘জাতীয় ছাত্র সংসদ’।
অপরদিকে ঐক্যের ধারায় বিকশিত হয় ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন’। ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধ হয়ে গঠন করে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন’। ১৯৮৭ সালের আগষ্টে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন’ ও ছাত্র ঐক্য ফোরাম ঐক্যবদ্ধ হয় ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নে’। ‘৬০-এর দশকে থমকে পড়া পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সংগ্রামী ধারা ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’ এবং ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন’ ঐক্যের ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালের ২৩, ২৪ অক্টোবরে ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’ গঠন করে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে দিয়েছে নতুন প্রাণ।

বতমানে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী শিক্ষার অধিকার আদায়সহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে নবতর ইতিহাস রচনায় দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলছে।

জন্মলগ্নের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর পূর্বসূরি সংগঠন ‘ইপসু’র নেতৃত্বে ‘৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১১ দফাসহ ‘৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ‘৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৮২- ‘৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র গণঅান্দোলন, ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চ ইত্যাদি আন্দোলনে ছিল ধারক-বাহক।

ছাত্র মৈত্রী তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে শিক্ষার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অটুট। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে প্রাণ দিতে হয়েছে ছাত্র মৈত্রীর বন্ধুদের।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তার প্রেক্ষাপট, ঐতিহাসিক বাস্তবতা সম্পর্কিত বিস্তারিত বিশ্লেষণ জরুরী।
অনুধাবন করা প্রয়োজন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল নয় মাসের যুদ্ধের ইতিহাস নয়। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি রচনা করতে, মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য নানামাত্রিক সংগ্রামের প্রয়োজন হয়েছে। শোষিত, বঞ্চিত এদেশের মানুষ সংগ্রাম করেছে নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তির তাগিদে। মুক্তিযুদ্ধের ভ্রুণ সৃষ্টি হয়েছিল ব্রিটিশ শাসন-শোষণের বিরুদ্ধ প্রতিবাদ সূচনাকাল থেকে।

শতাব্দীর অধিককাল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এবং দুই যুগ ধরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগঠিত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক মুক্তির লড়াইয়ে সে ভ্রুণ বিকশিত হয়েছে, নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে তা পেয়েছে পুর্ণাঙ্গ আকার-আকৃতি এবং ভূমিষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি। মুক্তিসংগ্রামের ঐতিহাসিক পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারাবাহিক বিকাশ সম্পর্কিত আলোচনায় অনিবার্যভাবেই এদেশের ক্রমশ গড়ে ওঠা বাম প্রগতিশীল শক্তির গৌরবময় ভূমিকা, আত্মত্যাগ এবং নিরন্তর সংগ্রামের প্রসঙ্গ এসে পড়ে।
এদেশের বাম প্রগতিশীল শক্তির নেতৃত্ব কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, মেহনতী মানুষ, প্রগতিশীল মধ্যবিত্তের ধারাবাহিক রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ইতিহাসকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়।

মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি সৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ইপসু অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে উপলব্ধিতে এনে, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় পরিচালিত করতে গেলে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর পূর্বসূরী সংগঠন ‘ইপসু’ সহ এদেশের বামপস্থী সকল ছাত্র সংগঠনের অবদানের ইতিহাসকে সামনে তুলে আনার কোন বিকল্প নেই।

দেশের শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন পরিস্থিতি যদি তুলে ধরতে হয়। তাহলে আমরা দেখি পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকীকরণ ও প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বিয়োজন করা হয়েছে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায়, ২০১৬-শিক্ষা আইন করে কোটি শিক্ষার্থীর সাথে চলছে শিক্ষার নামে প্রহসন, শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণ, শিশুর নিজের ওজনের ১০% এর বেশি ভারি ব্যাগ বহন করা নিষিদ্ধ থাকলেও সেটি আজও বাস্তবায়ন হয়নি, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে চলছে রমরমা ব্যবসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে জালিয়াতি।

দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ। সমগ্র দেশে চলছে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে অনিয়মে ভরপুর।

ইতোপূর্বে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আগুনের কবল থেকে রেহাই পায়নি। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে চলছে নৈরাজ্য।

ছাত্র মৈত্রী দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিজ্ঞান ভিত্তিক ও গণমূখী শিক্ষার দাবির প্রস্তাব করেছে। অবিলম্বে ছাত্র মৈত্রী প্রস্তাবিত সার্বজনীন, গণমূখী বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষানীতি প্রণয়ণে দাবি রয়েছে। বাজেটে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় আয়ের ৮ভাগ বরাদ্দ দিতে হবে। ছাত্র সমাজের ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। অবিলম্বে ডাকসু সহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে ইত্যাদি। শিক্ষার সকল স্তরে বাংলা ভাষা চালু করতে হবে, সকল জাতিসত্ত্বার জন্য মাতৃভাষার শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি।

কিন্তু একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ৫১ বছর অতিবাহিত হলেও আমার শিক্ষার সেই উদ্দেশ্য অর্জনে রাষ্ট্রকে ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখিনি। এত বাধা বিপত্তির মধ্যেও ছাত্র মৈত্রী তারঁ আন্দোলন সংগ্রাম অব্যহত রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফি বিরোধী আন্দোলনে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবাসন সংকট নিরসনের আন্দোলনের মাধ্যমে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ভর্তি ফি-বিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষা বাচাঁও ও অন্যান্য আন্দোলনের মাধ্যমে। সেই সকল চেতনাকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী এই সকল শিক্ষার ধ্বংসের সকল প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে এদেশের সচেতন ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে।

জাতীয়ভাবে আমরা একটি ক্রান্তিকালীন সময় অতিক্রম করছি। পঁচাত্তর পরবর্তী শাসকদের নীতি-দর্শন প্রশ্নবিদ্ধ। জাতীয় সম্পদ রক্ষায় ছাত্র মৈত্রী প্রতিনিয়ত আন্দোলন করছে, এদিকে সুন্দরবন রক্ষা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বতিলের দাবিতেও আন্দোলন চলমান।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবি। দেশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও আরো অন্যান্য ছাত্র সংগঠন থাকলেও দেশের সংকটময় মূহুর্তে দেশ ও জাতির কাছে এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। সেই অবস্থান থেকে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী দেশের বিভিন্ন জাতীয় ইসুতে তার আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে চলছে অবিরাম।

আগামীদিন গুলোতে ছাত্র মৈত্রী এখনো স্বপ্নদেখে একটি লাল টুকটুকে সূর্য উঠবে আমাদের দেশটাকে রাঙ্গাবে। বাসযোগ্য করে তোলবে আমাদের এই সমাজ, দেশ ও পৃথিবী। যেখানে অশুভ শক্তির আগমন সেই খানেই বিপরীতে ছাত্র মৈত্রীর সংগ্রামী অবস্থান অটুট থাকবে। শুভ শক্তি ও প্রগতির মিছিল রাঙ্গাবে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। তবেই আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের আত্মত্যাগের প্রতি যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনে সক্ষম হব, এদেশের মেহনতি মানুষের বক্ত আর ঘামের যথার্থ প্রতিদান দিতে সক্ষম হব।
সবশেষে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেই সমাপ্তি টানছি- মেহনতী জনতার সাথে একাত্ম হওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে সমাজ বিপ্লবের সহযোগী শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’র কর্মীরা গড়ে তুলেছেন নিজেদেরকে। জনমুখী বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত করতে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী নিরলসভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

-লেখক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।