Home রাজনীতি বাংলাদেশ এখন মনুষ্যত্বহীন ফ্যাসিজমের কালো ছায়ার নীচে: রিজভী

বাংলাদেশ এখন মনুষ্যত্বহীন ফ্যাসিজমের কালো ছায়ার নীচে: রিজভী

29
                                                                                                           স্টাফ রিপোটার : বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,বাংলাদেশ এখন মনুষ্যত্বহীন আওয়ামী ফ্যাসিজমের কালো ছায়ার নীচে। নির্যাতনের নির্মমতার মুখে দাঁড়িয়ে আছে গণতন্ত্রকামী মানুষ। অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামী জনগণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আজ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পরেও দেশকে গণতন্ত্রের অভিমুখী না করে নিষ্ঠুর ফ্যাসিজমকে প্রতিষ্ঠিত করার আয়োজন চলছে মহাধুমধামে। কবির কথায় বলতে হয়ে ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এই পৃথিবীতে আজ’। হিংসার একটা আদিম রুপের ছবি বাংলাদেশের সর্বত্র। প্রভুত্বকামী জুলুমবাজ সরকারের বিষাক্ত থাবা পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী বিদ্বেষের মন্ত্রণাদাতা, শান্তির শত্রু। বিগত কয়েকদিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয়েছে এক সর্বগ্রাসী সহিংসতার ভয়ঙ্কর আক্রমণ। আইনের শাসন, সুবিচার, মানবিক মর্যাদার অস্তিত্ব ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রসমাজ থেকে মুছে দেয়া হয়েছে নগ্ন দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় বাহিনী গুলোকে। গণতন্ত্র এখন মৃত, সেজন্যই গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের যেকোন কর্মসূচিকে বরদাশ্ত করছে না অবৈধ সরকার। সোমবার ০৭ আগষ্ট এক  প্রেস ব্রিফিং  একথা বরেন তিনি।   

তিনি বলেন, বর্তমানে এদেশে মত প্রকাশের ওপর বাধা নিষেধ রয়েছে। ব্যক্তি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে গেলে তার ঠাঁই হয় কারাগারে বা আয়নাঘরে। এখন রাজনৈতিক দলের সমাবেশের অধিকার পুলিশের ইচ্ছা—অনিচ্ছার ওপর। সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজের পছন্দের দলকে ক্ষমতায় আনার অধিকার ভোটার’রা হারিয়েছে। প্রতিনিয়ত সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য একটি তাবেদার তথ্য—ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। অতিযত্নে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় অপপ্রচার আর কুৎসা ছড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের কিছু অংশকে ব্যবহার করা হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তনকে রোধ করার জন্য অবৈধ কতৃর্ত্ববাদী সরকার জুলুমের সর্বোচ্চ পন্থা নামিয়ে এনেছে জনগণের ওপর। গণতন্ত্রের উল্টোযাত্রাকেই অব্যাহত রাখতে চায় আওয়ামী নিপীড়ক শাসকগোষ্ঠী।
বিএনপি এই নেতা বলেন, কোনভাবেই যাতে সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হতে না পারে সেজন্য খুন জখমে উৎসাহী ও সিন্ডিকেট—হিতৈষী ম্যান্ডেটবিহীন আওয়ামী সরকার দমন—পীড়ণে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করছে। মুদ্রা পাচার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোপাট, শাসকগোষ্ঠীর আত্মীয়স্বজনদেরকে হরিলুট করার সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে বিদ্যমান অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের সীমাহীন আবর্তের মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।