Home কুটনৈতিক ও প্রবাস বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চীন শাখার আয়োজনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চীন শাখার আয়োজনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন

38

জাকির হোসেন আজাদী: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চীন শাখার আয়োজনে গত (১৮ অক্টোবর) মঙ্গলবার শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মো: জনি বেপারী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শুরুতেই শেখ রাসেলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। তারপর তাঁর স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি মো: জনি বেপারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কাজী সাইফুল কারিম সুইট সভাপতি দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ, ড. মো: কামাল হোসেন উপদেষ্ট চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ, মো: শামীম শেখ সহ-সভাপতি, মি: জয় হোসাইন সহ-সভাপতি, এরফান আরিফ সহ-সভাপতি, মুরাদ চৌধুরি সহ-সভাপতি, মো: আশরাফ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক, রাশেদ আহমেদ যুগ্মসাদারন সম্পাদক, নেপাল রাজবংশী (নিপু) যুগ্মসাদারন সম্পাদক, পলাশ মাহমুদ সাংগঠনিক সম্পাদক, মোা:খাজা আহমেদ মজুমদার দপ্তর সম্পাদক, হাবিবুর রহমান খাঁন চঞ্চল, ইমতিয়াজ মাহমুদ উপ দপ্তর সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক জাকির হোসেন আজাদী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তরা বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ১১ বছর বয়সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদ্যদের সঙ্গে ঘাতকদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন শেখ রাসেল। পৃথিবীতে যুগে যুগে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিন্তু এমন নির্মম, নিষ্ঠুর এবং পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড কোথাও ঘটেনি। হত‍্যার পূর্বেআ তঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’। পরবর্তী সময়ে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন ‘আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দিন’।

‘মা, বাবা, দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা সবার লাশের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে সবার শেষে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল রাসেলকে। ওই ছোট্ট বুকটা কি তখন ব্যথায় কষ্টে বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। যাদের সান্নিধ্যে স্নেহ-আদরে হেসে খেলে বড় হয়েছে তাদের নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে ওর মনের কী অবস্থা হয়েছিল- কী কষ্টই না ও পেয়েছিল!!’

‘কেন কেন কেন আমার রাসেলকে এত কষ্ট দিয়ে কেড়ে নিল? আমি কি কোনোদিন এই ‘কেন’র উত্তর পাব?’ বঙ্গবন্ধুকন্যার এই আকুতি ভরা কেন’র জবাব কে দেবে?

রাসেল স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবের ছেলে এটাই হয়তো ছিল তার একমাত্র এবং সবচেয়ে বড় অপরাধ। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে শিশু শেখ রাসেলের প্রাণ কেড়ে নেয় ঘাতকদের নির্মম বুলেট। বেঁচে থাকলে আজ শেখ রাসেলের বয়স হত ৫৯ বছর।

তিনিও বেঁচে থাকলে তিনি হতেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের অগ্র সৈনিক। ভিশন ২০৪১ ডেল্টা প্ল্যান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে তার বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এখন যেমন দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, বেঁচে থাকলে তিনিও নিঃসন্দেহে নিজেকে দেশের জন্য নিয়োজিত রাখতেন।

তিনি হয়তো বিজ্ঞানী অথবা জাতির পিতার মতো বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার কাণ্ডারী হতেন। কিংবা হতে পারতেন বার্ট্রান্ড রাসেলের মতোই স্বমহিমায় উজ্জ্বলবিশ্বমানবতার প্রতীক।

শিশু রাসেল-কে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এই নিষ্ঠুর হত‍্যাকাণ্ড শুধু রাসেলের জীবনকেই কেড়ে নেয়নি, সেই সঙ্গে ধ্বংস করেছে তার সব অবিকশিত সম্ভাবনাও।