Home রাজনীতি বাংলাদেশটা আজ কাঁটাতারে ঝুলছে : গয়েশ্বর

বাংলাদেশটা আজ কাঁটাতারে ঝুলছে : গয়েশ্বর

14

রফিকুল ইসলাম সুজন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশটা আজ কাটাতারে ঝুলছে। যেমনটি ফোলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো, তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাও আজ কাটাতারে ঝুলছে। দেশটাকে নিয়ে, স্বাধীনতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, এ থেকে রক্ষা পেতে হলে ৭১-এর মত জেগে উঠতে হবে।

‘আমেরিকার মত দমনের জন্য পুলিশের প্রতি আমি যদি নির্দেশ দেই কেমন হবে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, তাদের এই নির্দেশের পর কিন্তু আমেরিকার এই পুলিশই হাটু ঘেড়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শুক্রবার বিকালে বিকালে বিএনপির নয়াপল্টনে বিশ্ব মা দিবসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। বিকাল তিনটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টা থেকেই ঢাকা মহানগর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা নেতারা ব্যানার সহকারে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। দুপুর দুইটার মধ্যেই লোকারণ্য হয়ে ওঠে পুরো নয়াপল্টন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে পল্টন মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশী বাঁধার কারণে বিজয়নগর মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে পুনরায় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

‘বিএনপি চলছে রিমোট কনট্রোলের মাধ্যামে’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির রিমোটতো তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার হাতে। আপনাদের রিমোট কনট্রোল কি মোদির কাছে। আপনি ওবায়দুল কাদের নিজেই বলেছেন ভারত না থাকলে আপনারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করতে পারতেন না। ভারতই আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ও তারেক রহমানের নাম শুনলেই ভয় পায়। তাই দুদিন পরপর তারেক রহমানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আমাদের কর্মীরা কর্মীরা কাম্ত, হতশ নয়। আজকে মামলা চালাতে চালাতে কর্মীরা সংসার চালাতে পারে না, নিজের চিকিৎসা চালাতে পারে না। তারপরও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বুক ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে। যত জুলুৃম, যত উৎপাত আসুক তা মোকাবিলা করে দাঁড়ানো শক্তি তাদের আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, অনেকে বলেন উনার (প্রধানমন্ত্রী) পায়ে মাটি নেই। থাকবে কি করে? জনগণ বা মাটির সাথেতো তার কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণেরতো উনার দরকার নেই। গতকাল উপজেলা নির্বাচনে গোপালগঞ্জেও শেখ সেলিমের প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও পরে রেহানার প্রার্থীকে জয়ী করা হয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও কেন্দ্রের ভিতরে ঠিকই চলেছে ভোট ডাকাতি। ৩ পার্সেন্ট ভোটকে ৪০ পার্সেন্ট দেখানোর জন্যই ফিরি লাইসেন্স নিয়ে সরকার সমর্থকরাই এসব সীল মেরেছে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা সাবেক আইজিপি বেনজির প্রসঙ্গে বলেন, ব্যারিস্টার সুৃমন কে? উনি চিঠি কেনো তার অবৈধ সম্পদ বের করার জন্য চিঠি দিলেন? মানুষে বলে প্রধানমন্ত্রী এ চিঠি দেওয়াছেন। ভাগে নাকি কম পড়েছে। আজকে এসব চিহ্নিত দূর্নীতিবাজদের পুলিশ ধরে না, তাদের নামে মামলা হয় না, আর আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যে আচরণ করেছেন ক্ষমতার পরিবর্তন হলে তার ১০ ভাগের একভাগ করলে আপনাদের সাথে করলে তা সহ্য করগে পারবেন? তাই সীমা লঙ্ঘন করবেন না। তাই বলছি জনগণের সাথে থাকুন, ন্যায়ের পথে থাকুন।