Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বশেমুরবিপ্রবিতে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বশেমুরবিপ্রবিতে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

28

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) হলের রুমে ঢুকে ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনকে ছুরিকাঘাত ও হামলা পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে হুমকির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রংপুর জেলা সংগঠন ও ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এ বিষয়ে রংপুর রংপুর জেলা সংগঠনের সহ-সভাপতি আবু সালেহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে নিরাপদে থাকার কথা। সেই জায়গায় হলের রুমে ঢুকে ফিশারিজ বিভাগের সাজ্জাদের উপর মর্মান্তিক হামলা ও পুনরায় হুমকির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আমরা ন্যায় বিচার দাবি করছি।

ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের ৪র্থ বর্ষের জুহিন বলেন, হামলার প্রায় ৬ দিন হয়ে গেলেও আমরা কোন সঠিক বিচার পাই নাই। অপরদিকে হুমকি প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। আমি প্রত্যাশা রাখি জাতির জনকের পুণ্যভূমিতে আমরা সঠিক বিচার নিশ্চিত হবে।

ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন জানান, হামলার পর আমার বিভাগের সভাপতিকে জানানো হলে হল প্রভোস্ট ইমদাদ স্যার, কামরুজ্জামান স্যার ও ফার্মাসি বিভাগের শফিক স্যার আসেন। তাদের সহযোগিতায় আমি সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হই এবং বেশ কিছুদিন আমি চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলাম। পরবর্তীতে প্রক্টর স্যার থেকে প্রশাসনের সকলেই আমাকে বিচারের আশ্বাস দেন। তবে এরপরেও সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করছে। একইসাথে শনিবার (১১ নভেম্বর) সে হলের মধ্যে ঢুকে হল চত্বরে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে।

তিনি আরও জানান, যেদিন আমাকে মারা হয়েছিল সে সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ নাই। এদিকে তদন্ত কমিটির সদস্য ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছে। এসব কারণে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং আমি মনে করছি এ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার পাব না। তাই আমি সঠিক বিচার ও নিরাপত্তার জন্য অনশনে বসেছিলাম। প্রশাসন আমাকে আজকের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. ইমদাদুল হক জানান, এ বিষয়ে আমরা দুটি দরখাস্ত পেয়েছি। ঐদিন আমরা ঘটনাটি জেনেছি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ। এরপর পরই হলের প্রভোস্ট বডি সবাই চলে আসি এবং শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ঘটনার সূত্রপাত হলের মধ্যে নয়। খেলার মাঠের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

হলে সিসি ক্যামেরা থাকার পরও কেন এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের হলে সর্বমোট ১৬ টি সিসিটিভি রয়েছে। তবে ঘটনার আগের দিন সকাল ১১ টা থেকে সিসিটিভির ডিডিআর বক্সের ক্যাবল কাজ করছিল না।

তিনি আরও জানান, আবাসিক শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হল প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত অনাবসিক শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত প্রবেশে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এদিকে হামলার অভিযোগ লিখিতভাবে জানানোর পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থী রনি মৃধা হলে ঢুকে হুমকি প্রদান করায় অভিযুক্তকে হল প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোনভাবে হলে প্রবেশ করলে বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান জানান, তিমধ্যে ড. হাসিবুর রহমানকে সভাপতি ও আমাকে সদস্য সচিব করে সাত (৭) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। আজকের ভিডিও ফুটেজ দিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া আরও গতিশীল, ত্বরান্বিত ও সহজতর হবে।