Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বশেমুরবিপ্রবিতে মাৎস্য চাষ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বশেমুরবিপ্রবিতে মাৎস্য চাষ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

63

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ‘হার্নেসিং মেশিন লার্নিং টু এস্টিমেট একোয়াকালচার প্রডাকশন এন্ড ভেল্যু চেইন পারফর্মেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত বাংলাদেশের মেশিন লার্নিং দক্ষতা এবং সুনির্দিষ্ট জলজ উৎপাদনের প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষিখাতকে ত্বরান্বিত করতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর সেমিনার কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক এর সভাপতিত্বে উক্ত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা মৎস অফিসার বিশ্বজিৎ বৈরাগী ও ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শরাফত আলী। কর্মশালায় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. বেন বেল্টন, ও ভিয়েতনামের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ট্রপিক্যাল অ্যাগ্রিকালচারের গবেষক ড. রিচার্ডো হার্নান্দেজ।এছাড়াও কর্মশালায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে প্রফেসর ড. বেন বেল্টন বলেন, বাংলাদেশে মাৎস্য চাষের উপযোগী স্থান। বিশেষকরে এদেশের দক্ষিণাঞ্চল চিংড়ী চাষের জন্য উপযোগী স্থান। উদ্যমী উদ্যোগ, যথাযথ পরিচর্যা ও প্রচারণা ঘটিয়ে দেশের মাৎস্য খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, আমাদের দেশে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে আমাদের দেশের চাষিরা নানা সময়ে মাছ উৎপাদনে পিছিয়ে আছে। দেশের মাৎস্য খাতকে ত্বরান্বিত করতে তাদেরকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির উৎকর্ষ কাজে লাগাতে হবে।

প্রসঙ্গত,আয়োজিত কর্মশালা প্রকল্পটি মূলত USAID-এর অর্থায়নে ‘ফিড দ্য ফিউচার’ দ্বারা পরিচালিত। প্রকল্পটি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ফিশ এবং সিআইএটি দ্বারা বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্পটি দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের সমস্ত প্রধান জলজ কৃষি জেলাগুলি অধ্যয়ন করছে।