Home সারাদেশ বর্ষার শুরুতেই প্লাবিত সিলেট নগরী ,বন্যার আশংকা

বর্ষার শুরুতেই প্লাবিত সিলেট নগরী ,বন্যার আশংকা

44

সৈয়দ রাসেল আহমদ,সিলেট অফিস: জ্যৈষ্ঠের খরতাপে পুড়েছে প্রকৃতি। গরমের তীব্রতায় ছিল অতিষ্ঠ ছিলো জনজীবন। বুধবার জ্যৈষ্ঠের শেষ দিনে নামে বজ্রসহ বৃষ্টি। মাত্র ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ভেসে যায় সিলেট নগরীর রাস্তাঘাট। ড্রেন উপচে পানি উঠে যায় বাসা-বাড়িতে। ফলে রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারে ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন’ নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলোধুনো করেছেন সিলেটবাসী। যদিও বিকেলের দিকে বৃষ্টিপাত কমে আসলে খানিকটা স্বস্তি পান নগরবাসী।

তবে বৃহস্পতিবার আষাঢ়ের প্রথম দিন ভোররাত থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার বজ্রসহ বৃষ্টিপাতে আবারো প্লাবিত হয় সিলেট নগরী। টানা বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। ড্রেনের পানি উঠে যায় বাসাবাড়িতে। ফলে কর্মঠে লোকজন ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা পড়েন ভোগান্তিতে। অনেকে দূষিত পানি ডিঙিয়ে গন্তব্যে রওয়ানা হন বাধ্য হয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বুধবারের মতো নগরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাসা বাড়িতে পানি উঠে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের আখালিয়া, পাঠানটুলা, মদীনামার্কেট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, শেখঘাট, ঘাসিটুলা, বেতবাজার, লালাদিঘীরপাড়, কুয়ারপাড়, তালতলা, হাওয়াপাড়া, সুবিদবাজার ও জালালাবাদ, মিরের ময়দানের বিভিন্ন এলাকা, শিবগঞ্জ, লামাপাড়া, পায়রা ও রাজারগলি, উপশহরের যতরপুর, তের রতনসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে বাসাবাড়িতে পানি উঠে যায়।

এদিকে অতি বৃষ্টির ফলে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে সিলেটে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী শাহ মুহাম্মদ সজীব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মোট ১০২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ সেন্টিমিটার এবং ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৪২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ২৭১ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেটে মুষলধারে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে টানা বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ি ঢল নেমে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভবানা রয়েছে বলে জানায় তারা,পাশাপাশি বন্যায় সবধরনের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।