Home সারাদেশ বড়পুকুরিয়া খনিতে পুরোদমে কয়লা উৎপাদন শুরু

বড়পুকুরিয়া খনিতে পুরোদমে কয়লা উৎপাদন শুরু

59

ডেস্ক রিপোর্ট: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আবারও পুরোদমে শুরু হয়েছে কয়লা উৎপাদন। তিন শিফটে কয়লা উৎপাদন শুরু হওয়ায় রবিবার উৎপাদন হয়েছে ২৭০০ মেট্রিক টন কয়লা। এদিকে পুরোদমে কয়লার উৎপাদন শুরু হওয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ওপর নির্ভরশীল ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কয়লা স্বল্পতার কারণে কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উত্পাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, খনির ভূ-গর্ভে ১৩০৬ নম্বর কোল ফেইসে থেকে গত ২৭ জুলাই কয়লা উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় ও চাইনিজ খনি শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ জুলাই সাময়িকভাবে কয়লা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় প্রায় সাড়ে ৩০০ খনি শ্রমিককে ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ৬ আগস্ট থেকে স্বল্প সংখ্যক স্থানীয় ও চাইনিজ শ্রমিক দিয়ে সীমিত পরিসরে এক শিফটে কয়লা উৎপাদন শুরু করা হয়। এরপর গত শনিবার থেকে তিন শিফট চালু করে পুরোদমে কয়লা উৎপাদন হচ্ছে। রবিবার খনি থেকে কয়লা উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৭৩১ দশমিক ২১১ মেট্রিক টন। ১৩০৬ নম্বর ফেইস থেকে প্রতিদিন তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে কয়লার উৎপাদন শুরু হওয়ায় ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে চালানো হয় না।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়াজেদ আলী সরকার জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রে অন্তত এক মাসের কয়লা মজুত রাখতে হয়। কিন্তু সেই পরিমাণ কয়লা নেই। কয়লার মজুত কমে যাওয়ায় বর্তমানে দুটি ইউনিট চালু রেখে ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন কয়লার প্রয়োজন হয় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুত্হীন কিংবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়বে। বড়পুকুরিয়া খনিতে পুরোদমে কয়লা উৎপাদন শুরু হওয়ায় তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
ইত্তেফাক