Home রাজনীতি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমাবেশ নিষিদ্ধ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করছে ইউরোপ : তথ্যমন্ত্রী

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমাবেশ নিষিদ্ধ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করছে ইউরোপ : তথ্যমন্ত্রী

48

স্টাফ রিপোটার: ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণাকে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কমলাপুরে শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতার সমাপনী ও ‘কনসার্ট ফর পিস এন্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তিনি কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখে আশ্চর্য হলাম যে, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-শোভাযাত্রা বা কথা বলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেন, তাদের দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এভাবে যে দমন করা হচ্ছে, এরপর কি তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে, প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাছান।

তিনি বলেন, যে কেউ যে কোনো কিছুর বিরূদ্ধে কথা বলতে পারা, সেটি হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলার অধিকার বন্ধ করে দিয়ে তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করেছে।

হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই যুদ্ধ ও হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে, সেটি ইসরাইলে হোক বা ফিলিস্তিনে হোক। কিন্তু হামাসের হামলার পর ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করেছে, পুরো গাজা উপত্যকার ১১ লক্ষ মানুষকে জিম্মি করেছে, সেখানে খাদ্য, পানি, জ্বালানি সমস্ত সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যেটি যুদ্ধাপরাধ। এবং তারা মানবতার বিরূদ্ধে অপরাধ করছে।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমদ রতন।

রাজনৈতিক বৈরিতার সময় যাত্রা শুরু করে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ ৩৫ বছর ধরে দেশের শিশু-কিশোরদের মানবিক বিকাশে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মায়ের মমতায় এই সংগঠনকে ধারণ করেছেন, এ জন্য তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

মন্ত্রী এ সময় ফুটবলকে সর্বজনীন সহজলভ্য অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ খেলা হিসেবে অভিহিত করেন ও তার বাল্যকালে নানা কৌশলে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা দেখার স্মৃতিচারণ করেন।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী অনূর্ধ্ব ১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। মোহাম্মদপুর দলকে হারিয়ে গেন্ডারিয়া দল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। পুরস্কার প্রদান শেষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সদস্যরা ‘কনসার্ট ফর পিস এন্ড জাস্টিস’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।