Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস প্রিয় প্রাঙ্গন, প্রিয় মুখ-ভালোবাসার আলিঙ্গন

প্রিয় প্রাঙ্গন, প্রিয় মুখ-ভালোবাসার আলিঙ্গন

রাজধানীর উইলস প্রাঙ্গনে প্রাক্তন-বর্তমানের মিলন মেলা

236
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কূল এন্ড কলেজে প্রাক্তন শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে ঢাকা জেলা প্রশাসক, অধ্যক্ষ এবং অতিথিবৃন্দ

স্টাপ রিপোর্টার।। প্রিয় প্রাঙ্গনে প্রিয় মুখ। কেউ পা ছুঁয়ে সালাম করছেন, কেউ বুকে জড়িয়ে ধরছেন। প্রাণের মানুষদের সাথে ভালোবাসার আলিঙ্গন, সাথে অবসর জীবনের সুবিধা প্রাপ্তি ও ফুলেল শুভেচ্ছায় আনুষ্ঠানিক বিদায়-সব মিলিয়ে আজ শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে এক অবিস্মরণীয় দিন কেটে গেল। প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক কর্মচারীদের উপস্থিতি পরিণত হয়েছিল মিলন মেলায়। সে মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক ও প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, এডিসি শিক্ষা-ঢাকা জেলা, ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার।

ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮ টা। শিক্ষক কর্মচারীরা আসতে থাকেন নব সাজে-নবরূপে। একে একে প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। প্রধান ফটকে আসতে না আসতেই প্রিয় মানুষককে ভালোবাসার অনুভূতি জানাতে হাজির হন বর্তমান শিক্ষক কর্মচারীরা। কর্মজীবনের আপনজনদের কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন প্রাক্তন শিক্ষক-কর্মচারী বৃন্দ। হাত ধরে নিয়ে তাদের বসানো হয় সামনের আসনে। এক সময়ে আসেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ঢাকা জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম। পরীর মতো সেজে তাকে সম্ভাষণ জানায় স্কুলের প্লে-গ্রুপের ছোট্ট সোনামনিরা। প্রথমেই গান গেয়ে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠান শুরুর পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই বর্তমান শিক্ষকদের আইকন। তারাই শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিষ্ঠানের মান উন্নত করতে হবে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ প্রতিষ্ঠান আজ দেশে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কেবল তাই নয়, তারা বর্তমান শিক্ষক কর্মচারীদের আদর্শের মূর্ত প্রতীক।” এছাড়া অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ড. মশিউর রহমান স্বাগত বক্তব্য  রাখেন।

বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক মিথুন সুলতানা ও শিক্ষক প্রতিনিধি ফয়সাল শামীম। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আ ন ম সামসুল আলম সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন। এর আগে ৩১ জন শিক্ষক কর্মচারীকে অবসর ভাতার চেক প্রদান করা হয়। অবসর জীবনের আর্থিক সুবিধা পেয়ে অনেকের চোখে আনন্দের অশ্রু ঝরে। দীর্ঘ সময় ধরে যে ন্যায্য পাওনা থেকে তারা বঞ্চিত ছিলেন, আজ তা পূরণ হলো।