Home সাহিত্য ও বিনোদন প্রথম চলচ্চিত্রেই বাজিমাত জাবি শিক্ষার্থী গালিবের

প্রথম চলচ্চিত্রেই বাজিমাত জাবি শিক্ষার্থী গালিবের

707

বোরহান উদ্দীন: নিজের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রে ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস ফিল্মস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জাবি) শিক্ষার্থী শেখ লোকমান গালিব। শেখ লোকমান গালিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।

গত ৭ থেকে ৯ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ১৬ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩ ইং এ শেখ লোকমান গালিবের অভিনীত ও লিখিত চলচ্চিত্র “লালাবাই” ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস ফিল্মস সেকশনে বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। উক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে ৩০ টি দেশের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুই হাজার সাতশ ছোট বড় চলচ্চিত্র অংশ নেন। জুরি বোর্ড কর্তৃক ১৫ টি চলচ্চিত্রকে উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ওখান থেকে বিভিন্ন দিক বিবেচনায় তিনটি চলচ্চিত্রকে মনোনীত করা হয়। যার মধ্যে লালাবাই প্রথম স্থান অর্জন করে। গালিবদের টিমের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, নির্মাতা মোর্শেদুল ইসলাম প্রমুখ।

লালাবাই গালিবের প্রথম লিখা, এবং অভিনয় করা চলচ্চিত্র। স্ক্রিপ্ট ও লিখেছেন গালিব নিজেই।
চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন অমিত্রাক্ষর বিশ্বাস। ইডিটিং ও ভিএফএক্সের কাজ করেছেন একরামুল হাসান। তাদের টিমের নাম ছিল Studio Name In Progress (SNIP)।
তারা লালাবাই ছাড়াও “উড়ে যায় দিন রাত্রি,” “Yellow Umberalla ” নামে দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
লালাবাই এ দেখাতে চেয়েছেন জীবনের অর্থ, বেঁচে থাকার স্বার্থকতা। জীবনে নানা সমস্যা আসবেই, তারপরও লড়ে যেতে হবে সবসময়।
লালাবাই সম্পর্কে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনে সোসাইটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুব্রাতা নন্দী বলেন, গালিবের কাজটি এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি আমি দেখেছি। এই চলচ্চিত্রের ভিতর গূঢ় অর্থ নিহিত। তার কাজটি বেশ প্রশংসার দাবিদার। নইলে এত বড় একটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করা সম্ভব না।

শেখ লোকমান গালিব বলেন, আমার প্রথম কাজ লালাবাই এই অ্যাওয়ার্ড় অর্জন করায় অত্যন্ত খুশি হয়েছি। এর মাধ্যমে আমার আত্মাবিশ্বাস বেড়েছে। চলচ্চিত্রের কাজের সাথে কেমন জানি আমার একটা সম্পর্ক আছে। পারিবারিক অনেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে আমরা এই তিনটি চলচ্চিত্রের কাজ করেছি। আমার বয়সী একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি চলচ্চিত্রের বাজেট করা অত্যন্ত কঠিন। তারপরও কাজগুলোর প্রতি ভালোবাসা থেকে আমরা এতটুকু করতে পেরেছি। আশা করছি সামনে আরো ভালো ভালো কাজ আনতে পারবো। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করতেছি। পরবর্তী কাজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে করার ইচ্ছে আছে।