ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বরেছেন, একটি নামকরা পত্রিকা ৭ বছরের এক শিশুর হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাকে মিথ্যা বলতে বলে। তারা তার মন্তব্য লিপিবদ্ধ করে – ‘আমরা ভাত-মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই’ এবং তা প্রকাশ করে’। তিনি সংসদে বলেন, ‘সেখানেও আছে সেই নামকরা সংবাদপত্র, যা খুবই জনপ্রিয়। এর নাম প্রথম আলো (আলো), কিন্তু এটা অন্ধকারে বাস করে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের শত্রু।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে চাই যে- তারা কখনই এই দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায় না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন তারা খুবই আনন্দিত হয়েছিল এবং সেই সময়ের ওই প্রক্রিয়ায় এদুটি সংবাদপত্র সর্বাত্মকভাবে জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, ‘অনুচ্ছেদ ৭০ গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেয় ও জনগণের কাছে গণতন্ত্রের সুফল পৌঁছে দেয়ার জন্য এটিকে আরও শক্তিশালী করে। কিন্তু, আমাদের (সংসদ) সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন এই অনুচ্ছেদের বিরুদ্ধে। কারণ, এই অনুচ্ছেদের জন্য তারা ইচ্ছেমতো সরকার ভাঙা-গড়ার খেলা খেলতে পারছেন না।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম (বিশেষ) অধিবেশনে সমাপনী ভাষণ প্রদানকালে আজ তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানত সংসদ সদস্যদের ফ্লোর ক্রসিংয়ের কারণে ১৯৪৬ এবং ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারগুলোকে উৎখাত করার কথা উল্লেখ করে, তাদের অনভিজ্ঞতার কারণে কয়েকজন সংসদ সদস্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। যারা এটা করছেন তাদের অভিজ্ঞতার অভাব থাকতে পারে। ৭০ অনুচ্ছেদ আমাদের দেশে সরকারকে স্থিতিশীলতার সুযোগ দিয়েছে- যে কারণে দেশ উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে।’
বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের তার বক্তৃতায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের কথা বলেন।
এর আগে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রীর ৭ এপ্রিল গৃহীত একটি রেজুলেশনের ভিত্তিতে সংসদে বিশেষ আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংসদে দেশের অর্জন তুলে ধরে স্মারক ভাষণ দেন।
সংসদে আরও বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।