Home জাতীয় প্রতিটি কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে

প্রতিটি কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে

22

স্টাফ রিপোটার: আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার, সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রে’র উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ এবং লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন যে, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির ফলে বর্তমানে প্রাপ্ত মজুরিতে কোনোভাবেই শ্রমিকরা সংসার চালাতে পারছেন না। উৎপাদন এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী শ্রমিকদেরকে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। মালিকরা কখনোই শ্রমিকদের দুঃখ কষ্টকে বিবেচনায় নেয়নি এখনও তা নিচ্ছেন না। কেননা জীবনধারণ উপযোগী নিম্নতম মজুরি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন, জাতিসংঘের পুষ্টিমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্ঠিবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এর হিসাব এবং বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা হচ্ছে না। তাই মজুরি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ সরকার বা মালিক কারো দিক থেকেই পরিলক্ষিত নয়। বিধায় চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মজুরি বোর্ড গঠন করার জোর দাবি জানানো হয়।

শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু অতীব জরুরি। কিন্তু তাও করা হচ্ছে না। এই সমাবেশ নিম্নতম ২৩ হাজার টাকা ঘোষনা ও পিসরেটসহ সকল শ্রমিকদের একই হারে মজুরি বৃদ্ধি এবং রেশনিং এর জন্য দেশব্যাপী প্রতিটি কারখানায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে সংগঠনের সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রে’র সাধারণ সম্পাদক প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী শ্রমিকনেতা কামরুল আহসান ও আব্দুল ওয়াহেদ, ইন্ডাষ্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিল এর সভাপতি শ্রমিকনেতা আমিরুল হক আমিন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা এম. এ শাহীন, ইকবাল হোসেন, সাইফুল্লাহ আল মামুন, জয়নাল আবেদিন, জালাল হাওলাদার, কামরুল হাসান, জাহানারা বেগম, মো. মুনসুর আলী, সুমা আক্তার, মো. আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শ্রমিকনেতা কে এম মিন্টু।