Home জাতীয় প্রতারনা : বিভিন্ন নামে ১২টি ভিজিটিং কার্ডের মালিক সে

প্রতারনা : বিভিন্ন নামে ১২টি ভিজিটিং কার্ডের মালিক সে

49

স্টাফ রিপোটার: তিনি কখনো দুদক কর্মকর্তা। আবার কখনো রাজউক, বিআরটিএ, দাতা সংস্থার কর্মকর্তা বা ডাক্তার। এভাবে বিভিন্ন নামে রয়েছে তার ১২টি ভিজিটিং কার্ড। যেগুলো সে সহজ- সরল মানুষের সাথে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে আসছিল। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে এমনই এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
তার আসল নাম নিশ্চিত না হওয়া গেলেও পুলিশের কাছে গ্রেফতার ওই প্রতারক নিজেকে মো. হাফিজুল ইসলাম সরদার, ডা. মো. শফিক শাহরিয়ার, মো. শফিক ও মো. মামুন, মো. শাহরিয়ার নামে পরিচয় দিয়েছেন।
ডিবি জানায়, ওই প্রতারক নিজেকে দুদক, রাজউক, বিআরটিএ, ডাক্তার এবং রিসোর্স ইন্টারোগেশন সেন্টার (আরআইসি) নামে একটি দাতা সংস্থার কর্মকর্তা দাবি করে। বিআরটিএর ভুয়া আইডি কার্ডে তার নাম শফিক শাহরিয়ার, রাজউকে মো. মামুন, আরআইসিতে মো. শাহরিয়ার, একটি মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানে মো. শফিক এবং দৈনিক স্বাধীনতা সংবাদের আইডি কার্ডে এস মো. শফিক উল্লেখ করেছে।
তার কাছ থেকে ১২টি ভিজিটিং কার্ড, পিপলস ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড কনসালটেশনের ল্যাব রিপোর্ট সরবরাহে খালি খাম ৮০টি, পিপলস ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডের খালি পাতা ৪৫টি, দুর্নীতি দমন কমিশনের লোগো এবং লোগোর জলছাপ সম্বলিত লিগ্যাল নোটিশের খালি প্যাডের পাতা ৫টি, বিআরটিএর অস্থায়ী অনুমতিপত্র (খালি ফরম) ১০ পাতা, বিভিন্ন টেলিভিশনের লোগোযুক্ত স্টিকার ১৩১টি, বিআরটিএর বিভিন্ন সিল ৩টি, ছবিযুক্ত দুদক, রাজউক, বিআরটিএ, আরআইসি কর্মকর্তা পরিচয়ের আইডি কার্ড ৫টি উদ্ধার করা হয়।
ডিবির ওয়েব বেজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের ইনচার্জ এডিসি আশরাফ উল্লাহ জানান, ডেমরার কোনাপাড়ায় শফিকের কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। এছাড়া দৈনিক বাংলা মোড়ে বিভিন্ন প্রেস থেকে টাকার বিনিময়ে ভুয়া আইডি কার্ড, স্টিকার, সিল মোহর, মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করে সে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে, নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়ার জন্য বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার তৈরি করে এবং নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করে বিদেশগামী বিভিন্ন লোকজনের কাছে অর্থ দাবি করতো সে।