Home প্রচ্ছদ পৃথিবীর জনসংখ্যার চেয়েও বেশিবার দেখা হয়েছে যে গান

পৃথিবীর জনসংখ্যার চেয়েও বেশিবার দেখা হয়েছে যে গান

33

ডেস্ক রিপোর্ট: না, নামিদামি কোনো শিল্পীর গাওয়া গান নয়, নেহাতই একটা শিশুসুলভ গান। এমনকি গানটির গীতিকার কিংবা সুরকারের হদিস না পাওয়া যায়নি। তারপরও পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশিবার দেখা হয়েছে গানটি!

বলা হচ্ছে ‘বেবি শার্ক’ গানটির কথা। ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের এই গানের জাদুতে মেতে আছে পুরো দুনিয়া। ইউটিউবের সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিও হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে গানটি।

গত বছরের নভেম্বর মাসে গানটিকে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিও হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউটিউব।২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসে গানটির দর্শক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৮০ কোটি। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি।

ইউটিউবে নানা ভাষায় ‘বেবি শার্ক’ গানটির অসংখ্য সংস্করণ পাওয়া যায়। তবে ৮৮০ কোটি বার দেখার মাইলফলক ছুঁয়েছে যে ভিডিওটি, সেটি আপলোড করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান পিংকফং এর ইউটিউব চ্যানেলে।

২০১৫ সালে শুরুতে ‘বেবি শার্ক’ গানটির একটি অ্যানিমেশনভিত্তিক সংস্করণ আপলোড করেছিল পিংকফং। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই তারা নতুন করে গানটি আপলোড করে। দুটি বাচ্চা ছেলেমেয়ের সহজ নাচের ভঙ্গি কিংবা গানের কম্পোজিশন, যে কারণেই হোক, বাচ্চারা ওই সংস্করণটি ভীষণ পছন্দ করে ফেলে। ‘বেবি শার্ক’ পরিণত হয় বাচ্চাতদের কান্না বন্ধ করার ওষুধে।

তবে ঠিক কি ভাবে গানটির জন্ম জানা সঠিকভাবে জানা যায়নি। ৭০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের এক গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প থেকে মুখে মুখে ‘বেবি শার্ক’ গানটি ছড়িয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ১৯৭৫ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গের জ’স ছবিটি যখন তুমুল আলোড়ন তুলল, তখন ‘বেবি শার্ক’ এর জন্ম। অনলাইনের দুনিয়ায় গানটি প্রথম পাওয়া যায় ২০০৭ সালে। ইউটিউবে জার্মান ভাষায় বেবি শার্ক গেয়ে আপলোড করেছিলেন এক নারী।যদিও ‘ক্লেইনার হাই’ শিরোনামের ভিডিওটি সে সময় খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি।-যুগান্তর