বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের উদ্যোগে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ৭ আগস্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৫ তলার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ (আবাসিক) প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রিভেনটিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক তুহিন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখসহ শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে বেশকিছু সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দেন। মাননীয় উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে অনেক কিছুই করেছে, অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৫৭টি বিভাগ, ১০২টি উচ্চতর কোর্স, প্রতি বছর রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট মিলিয়ে নতুন করে ২০০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। নেপাল, ভূটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। প্রতি বছর অনেকগুলো গবেষণা কার্যক্রমও সম্পন্ন হচ্ছে। তারপরও উন্নতমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে এবং গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে দেশি বিদেশি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এর সাথে রয়েছে গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ফান্ডিং নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নতমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যেও সমন্বয় ও সহযোগিতা অপরিহার্য। তবে একটা মনে রাখতে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে যেমন সংশ্লিষ্টদের নেতৃত্ব দিতে হবে, তেমন নিজের ভেতর থেকেই গবেষণার প্রতি ঝোঁক থাকতে হবে।
মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে হেলথ টুরিজম চালু করা, জার্নাল ইনডেক্সিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা, সমন্বিত রিসার্চ সেন্টার চালু করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বর্তমান প্রশাসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ৪ কোটি টাকা থেকে ৩২ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত গবেষণা ফান্ড থেকেও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফান্ড।
