Home রাজনীতি পল্টন হত্যকান্ডে বিচার ও পুনঃতদন্ত দাবি সিপিবির

পল্টন হত্যকান্ডে বিচার ও পুনঃতদন্ত দাবি সিপিবির

22

স্টাফ রিপোটার: ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র মহাসমাবেশে বোমা হত্যাকান্ডে ২২তম বার্ষিকীতে আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দুর্নীতি, লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতাকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ও শোষণমুক্ত সমাজ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য আওয়ামী ও বিএনপি ধারার বাইরে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীলদের বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে। নেতৃবৃন্দ হত্যাকারী ও এর নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন হত্যাকা-ের বিচার হয় কিন্তু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধের জন্য যেসব হত্যাকা-ের বিচার হওয়া প্রয়োজন সেসব হত্যাকা-ের বিচার করা হয় না। ২০ জানুয়ারির হত্যাকা-ের পরিপূর্ণ বিচার না হওয়ায় হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়নি। এই হত্যাকান্ডের বিচার দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিচারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন যে, সাক্ষীরা নিয়মিত সাক্ষ্য প্রদান করে না। কিন্তু সিপিবির সাক্ষীরা নিয়মিতই সাক্ষ্য প্রদান করে আসছেন। এরকম মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার দায়িত্বে মামলা থাকলে এই মামলার নিষ্পত্তি অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এই ধারা চলতে থাকলে রাজনীতিতে সুষ্ঠু ধারা ব্যাহত হবে, আর ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত সিপিবি’র মহাসমাবেশে বোমা হামলায় শহীদ হন হিমাংশু মন্ডল, আব্দুল মজিদ, আবুল হাসেম, মোক্তার হোসেন ও বিপ্রদাস রায়। আজ ২০ জানুয়ারি সকাল ৯ টায় এই শহীদদের স্মরণে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান,সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এড. আনোয়ার হোসেন রেজা।
অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, সাম্যবাদী দল,বাংলাদেশ জাসদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, কৃষক সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্ট টিইউসি, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, সিপিবি ঢাকা মহানগর (উত্তর), সিপিবি ঢাকা মহানগর (দক্ষিন), কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখা, কেন্দ্রীয় দপ্তর শাখা, একতা, নারী সেল, লেখনী কম্পিউটার্স এবং ঢাকা নগরের বিভিন্ন শাখাসহ শতাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। আন্তর্জাতিক পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
আজ বিকেল ৩টায় ঢাকার শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের এই দিনে রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবি’র লাখো মানুষের মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালায় প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতক চক্র।