যুগবার্তা ।। প্রতি চার বছর পর পর শুরু হয় বিশ্বযুদ্ধ। করোনার কারণে মাঝখানে রণেভঙ্গ হলেও বিশ্ববাসী আবার যুদ্ধে নেমেছেন। তবে এ যুদ্ধে বারুদ্ধের গন্ধ নেই, বোমার শব্দ নেই, নেই পারমাণবিক বোমা আতঙ্ক। আছে কেবল উল্লাস আর উন্মাদনা। ফুটবল বিশ্বকাপ নামের সেই যুদ্ধের বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্দায় উঠলো আজ ২০ নভেম্বর মরুর দেশ কাতারে। আল বায়ত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপ ২২তম আসর কাতার বিশ্বকাপে পা রাখল এবং দুনিয়ার মানুষ মেতে উঠলেন ফুটবল রোমাঞ্চে।
কাতারের সেই মাঠে লড়বে ৩২ দল, আর উন্মাদনায় ভেসে বেড়াবে পুরো দুনিয়া। বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৭ টায় শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও কাতারের শাসক তামিম বিন হামাদ আল থানি। উদ্বোধনী ভাষণে হামাদ আল থানি বলেন, ‘মানুষে মানুষে বিভেদ ভুলে এই ঐক্য দেখতে কী দারুণ লাগছে! বিশ্বকে দোহায় স্বাগতম!’ অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি নিয়ে আসেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের সাবেক ডিফেন্ডার মার্সেল দেশাই। এরপর তুলে ধরা কাতারের ঐতিহ্য। মঞ্চে আসেন হলিউড তারকা মরগান ফ্রিম্যান। এসময় আশা, ঐক্য, সহনশীলতার বার্তা দেন তিনি। ছিলেন শত শত ডান্সার এবং সঙ্গীত শিল্পী। এরপর মঞ্চে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২ দলকে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া এবারের বিশ্বকাপের বৃহৎ আকারের মাস্কাট প্রদর্শণ করা হয়। এরপর এবারের বিশ্বকাপের থিম সং ড্রিমার গেয়ে মঞ্চ মাতান বিটিএস তারকা জং কুক। ৬০ হাজার আসনবিশিষ্ট আল বায়ত স্টেডিয়ামে ছড়ানো হয়েছে আলোর রোশনাই। চোখ ধাঁধানো আতশবাজির জন্য উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে
এবারের বিশ্বকাপের থিম সং ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ইওরস টু টেক’ গেয়েছেন আমেরিকার শিল্পী লিল ববি। আর থিম সং-এর সঙ্গে নৃত্য করেছেণ মরোক্কোর নৃত্যশিল্পী মানাল ও রেহমা। তাদের সঙ্গে ছিলেন নোরা ফাতেহিও। এছাড়া কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএস-এরও সঙ্গীত পরিবেশনাও হয়েছে। আতশবাজির ঝলকানিতে বিশ্বকে মাতিয়ে বিশ্ববাসীর উন্মাদনার যুদ্ধের ৪৫ মিনিটের জমকালো আয়োজন শেষ হয়।