মোঃ পাভেল ইসলাম রাজশাহী: রাজশাহী পবা হাইওয়ে পরিবহন আটক বানিজ্য ব্যাস্ত সময় পার করছেন ওসি জাহাঙ্গীর আলম খান ও এএসআই সোহেল।
মঙ্গলবার (৬ডিসেম্বর) রাতে শিবপুর পবা হাইওয়ে থানা বানেশ্বর পুল্লাপুকুর থেকে দুটি পিক আপ ও কুষ্টিয়া গামী একটি পিকাপ ভ্যান আটক করে ওসি জাহাঙ্গীর আলম খান সাথে এএসআই সোহেল। গাড়ীগুলো আটক করার পর ফাড়ীতে নিয়ে মামলা না দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়ে গাড়ী ছেড়ে দেয় যাহার নম্বর ঢাকা মেট্রো ন ১৪-৮৩০৬ ও ঢাকা মেট্রো ন ২১-১৭০০। কুষ্টিয়া গামী পিকাপ ভ্যান যাহার নম্বর কুষ্টিয়া ন ১১-০০৭২ ভ্যানটি আটক করে নগদ চল্লিশ হাজার টাকা ও পরে বিকাশে বিশ হাজার টাকা সর্বমোট ষাট হাজার টাকা নিয়ে গাড়ী গুলি রাতে আধারেই ছেড়ে দেয়।
ভুক্তভোগী মিজান (৩৫), পিতা নিজাম, সাং বেলপুকুর,
রাজশাহী বলেন বানেশ্বর পুল্লাপুকুর এ ওসি স্যার এবং এএসআই সোহেল স্যার আমার গাড়ী আটক করে শিবপুর ফাড়ীতে নিয়ে যায় এবং আমার গাড়ীর কাগজপত্র চাই, আমি সব কাগজ দিলে ওসি স্যার বলে একটা মামলা নিয়ে যাও,আমি বলি স্যার আমি গরীব মানুষ আমার গাড়ীতে মামলা দিয়েন না।
ওসি স্যার প্রথমে বলে মামলা না নিলে ১০,০০০ টাকা দাও গাড়ী ছেড়ে দিব,আমি বলি আমার কাছে এত টাকা নাই পরে ওসি বলেন, ৫০০০ টাকা দিয়ে নিয়ে যাও।আমি মামলার ভয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে গাড়ী নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন ওসি স্যার সব গাড়ী ধরে আর টাকা নিয়ে গাড়ী ছেড়ে দেয়,আমরা এই ওসির হাত থেকে পরিত্রাণ চাই।
আরেক ভুক্তভোগী তারিক (৩০)পিতা মৃত রহমান, সাং বেলপুকুর রাজশাহী বলেন,শিবপুর ফাঁড়ীর ওসি স্যার আমার গাড়ী বানেশ্বর এ আটকে রেখে,গাড়ীর কাগজপত্র ফাঁড়ীতে নিয়ে যায় এবং আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে গাড়ী ছেড়ে দেয়। আমরা গরীব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব,হাইওয়ে পুলিশের বড় স্যারদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। যেন তার এখান থেকে দ্রুত পোষ্টিং হয়।
আরেক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন,আমি কুষ্টিয়া থেকে রাজশাহীতে বিড়ির ভাড়া নিয়ে আসছিলাম,আমার গাড়ী আটকিয়ে,আমার কাছ থেকে নগদ চল্লিশ হাজার টাকা এবং বিকাশে বিশ হাজার টাকা সর্বমোট ষাট হাজার টাকা নিয়েছে ওসি ও এএসআই সোহেল স্যার। আমরা সাধারণ জনগন এর বিচার চাই। হাইওয়ে পুলিশ রক্ষক হয়ে ভক্ষক হলে আমরা যাব কোথায়।
আটক বানিজ্য বিষয় জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর খান বলেন, বিষয় টা সঠিক না। আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমি রাজশাহী হাইওয়েতে নতুন এসেছি তাই আমাকে হেনস্তা করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। সাংবাদিকরা আমাকে খুব পেরার মধ্যে রেখেছে। সারাদিন আমার কাছে অনেক সাংবাদিক এসেছে ও অনেকে ফোন দিয়েছে। আমি তদন্ত করছি বিষয় টা নিয়ে।