Home সারাদেশ নৌ দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ মাস্টার-ড্রাইভার তৈরির আহ্বান ১৫ বিশিষ্ট নাগরিকের

নৌ দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ মাস্টার-ড্রাইভার তৈরির আহ্বান ১৫ বিশিষ্ট নাগরিকের

36

ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্ঘটনা রোধে নৌযানের দক্ষ মাস্টার ও ড্রাইভার তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এ জন্য অভ্যন্তরীণ মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার এবং অবিলম্বে দুটি পরীক্ষা বোর্ড বিলুপ্ত করে নতুন বোর্ড গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এ দাবি জানান।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে পরীক্ষা বোর্ড গঠন এবং নতুন বোর্ডে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত না করারও দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

অদক্ষ চালকের কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপথে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা পদ্ধতি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। উভয় ক্ষেত্রে মাত্র ২০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ২০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকে এবং প্রশ্নপত্রে টিক চিহ্নের মাধ্যমে উত্তর দিতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় একজন মাস্টার কিংবা একজন ড্রাইভারের যোগ্যতা নির্ধারণ আদৌ সম্ভব নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ডের দুই চেয়ারম্যানই নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। দুটি বোর্ডের অন্য সদস্যরাও একই সংস্থায় কর্মরত। তাঁরাই প্রশ্নপত্র তৈরি, লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন। এ ছাড়া বোর্ড সদস্যরাই মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদ প্রদান করেন। এ কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে বিবৃতিদাতারা অভিযোগ করেন, নৌ অধিদপ্তরের একক কর্তৃত্বের কারণে পরীক্ষায় লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষার আগে প্রার্থীরা দালালদের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেন করছেন। ফলে পাস করা প্রার্থীদের বেশিরভাগ অযোগ্য। দুই চেয়ারম্যানসহ দুটি পরীক্ষা বোর্ডের কয়েকজন সদস্য এ অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

বিবৃতিদাতারা হলেন- কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশুসংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুনুর রশীদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিতরঞ্জন দে, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, জ্যেষ্ঠ নৌ প্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, শিশুসংগঠক তাহমিন সুলতানা স্বাতি, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, প্রভারটি ইমুলিনেশন এ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, পুরনো ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন।