Home রাজনীতি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে নির্যাতিত-নিপীড়িত বিশাল জনগোষ্ঠী বিরোধী জোটে ভোট দেবে–জি এম কাদের

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে নির্যাতিত-নিপীড়িত বিশাল জনগোষ্ঠী বিরোধী জোটে ভোট দেবে–জি এম কাদের

47

মাহাবুবুর রহমান: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে। যারা সরকারের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে তারাই শুধু সরকারি জোটে ভোট দেবে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে নির্যাতিত-নিপীড়িত বিশাল জনগোষ্ঠী বিরোধী জোটে ভোট দেবে। তাই জাতীয় পার্টির অবস্থান পরিষ্কার। জাতীয় পার্টি সারারণ মানুষের কাতারে নেতৃত্ব দেবে।

আজ বিকেলে মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর এর দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের একথা বলেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতি করছে। কিন্তু দেশের মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অচল মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাই জাতীয় পার্টির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে আগামী নির্বাচনে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির ওপর ভরসা রাখতে চায়, সেজন্য জাতীয় পার্টিকে আরো সুসংহত করতে হবে। নির্বাচন এলে কিছু মানুষ সরকারি দলের দালালি করতে চায়। যারা দালালি করবে জাতীয় পার্টিতে তাদের জায়গা হবে না।

এসময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, প্রতিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় পার্টির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় পার্টির জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড ছিলো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য লেভেলে প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে। আবার নিজেদের ইচ্ছে মত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পেশিশক্তি, অর্থ আর প্রশাসন ব্যবহার করে নির্বাচন ব্যবস্থা কলুষিত করেছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আলোচনার প্রস্তাব আসে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে মতামত দেবো।

এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, যানজটের কারণে রাজধানীর মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। অসুস্থ রোগী অ্যাম্বুলেন্সে নিলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই পথে মারা যাবার অবস্থা হয়। তিনি বলেন, আগামী ঈদে সড়ক পথের শৃংখলা রক্ষায় এখনই কাজ করতে হবে। প্রতিটি ঈদে দেশবাসী শিকড়ের টানে ছুটে যায়। পথে পথে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। এসময় দুর্ঘটনাও বেড়ে যায়। তাই সড়কের ভোগান্তি রোধ করতে এবং ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে এখনই কাজ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, রমজানে সংযম সাধনা করছি আমরা কিন্তু ঈদের পর আর সংযম করা সম্ভব হবে না। দেশের মানুষ ভালো নেই, আমরা তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকবো। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কারো দালালি করে না, জাতীয় পার্টি কারো লেজুরবৃত্তি করে না। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কারো সাথে নেই। কারো প্রয়োজন হলে তারা জাতীয় পার্টির দালালি করবে। কারণ, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে এসে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় ।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি, মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

উপস্থিত ছিলেন- কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সল চিশতী, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, মেজর (অবঃ) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক।

উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শেরীফা কাদের এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন, আমানত হোসেন আমানত, মাহবুবুর রহমান লিপ্টন, ভাইস-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, সুলতান আহমেদ সেলিম, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, মোঃ জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, যুগ্মমহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোঃ শামসুল হক, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, মাখন সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট আবু তৈয়ব, মোস্তফা কামাল, ডাঃ সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে এলাহি সোহাগ, সরদার নজরুল ইসলাম, লোকমান ভূঁইয়া রাজু, এম মহিবুল, ফারুক আহমেদ, আলমগীর হোসেন, সুলতান আরা রিমা, শারমিন, মিনি খান, এসএম হাসেম, নাহার ইতি, আলাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, হাজী সিরাজ, চৌধুরী পারভেজ সাজ্জাদ, আবুল বাশার, দুলাল, এম এম সেলিম, মোঃ আলী, নূরুন্নবী, কামাল।