স্টাফ রিপোটার: সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত) নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
সোমবার (৪ জুলাই) নির্বাহী কমিটির সভাকে ঘিরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জামায়াত সমর্থিত সাংবাদিক ও ছাত্র শিবিরের কর্মীরা ব্যাপকভাবে অবস্থান নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বিএনপিপন্থী ডিইউজের নির্বাহী সদস্য দৈনিক নওরোজের ফটোসাংবাদিক জেসমিন জুইকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জুই ঢাকা টাইমসকে অভিযোগ করে বলেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। আমি শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ বলেছে তদন্তের পর আপনি চাইলে মামলা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কাউকে আঘাত করিনি। আমার ওপরে হামলা করেছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।
জানা গেছে, ভুয়া সদস্যদের বিষয়ে ডিইউজের গত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের ১৪ মাস পর কমিটি গঠন করা হয়, যা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এর মধ্যে ভূয়া সদস্য তালিকা নিয়ে যাদের অধিকাংশ জামায়াত-শিবির কর্মী, নির্বাচন করার জন্য জামায়াত অংশটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
জামায়াতের রোকন এবং সাংবাদিক শাখার নেতা ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই দলের সদস্যরা দ্রুত ভোট করার উদ্যোগ নিলে বিএনপি সমর্থিত কর্মকর্তা ও সদস্যরা এই বলে আপত্তি করেন যে, আগে ভুয়া ও জঙ্গী সদস্যদের চিহ্নিত করে বাদ দিতে হবে।
এই বিবাদের মধ্যে নির্বাহী কমিটির একাধিক সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবারের সভায় এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ক্লাব প্রাঙ্গণে সমবেত জামায়াত কর্মীরা হই-চই শুরু করে। এক পর্যায়ে নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই ভোটের তফসীল ঘোষণার আগে ভুয়া সদস্য সনাক্তের দাবি করলে সাধারণ সম্পাদক তাঁকে প্রকাশ্যে চড় মারেন। দৈহিকভাবে লাঞ্ছিত হট্টগোলের মধ্যে সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, যিনি বিএনপির সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য, ঘোষণা করেন যে, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনী তফসিল দেয়া হবে।